**************
প্রাকৃতিক নিয়মে অথবা মনের খিদায় আসে
ইচ্ছাগুলো আজও এই মস্তিষ্কের
কঠিনাবরণে আবৃত লঘুমস্তিষ্কে অথবা থ্যালামাসে ৷
হাজার হলেও ইচ্ছারা তো আর এ ধরায় স্বেচ্ছায়
চলন্ত রোবোটের মতন লকডাউন বোঝে না!
তারা কালের হিসাবে ধরার রঙ্গখেলার শিক্ষায়
আলোকপ্রাপ্ত নট-নটীর মনকাননে ভিড় জমায়!
কিন্তু আজ এ করোনাকবলিত বিধ্বস্ত ধরায়
তারাও চার দেওয়ালের দালানে অথবা কুঁড়ে ঘরে
ঘরবন্দী—কেননা ওদের সাফল্যের চাবিকাঠি
তো ওই রোবোট যন্ত্রের হাতে!
ইচ্ছাগুলো কি হবে বিজয়ী এ নীরব বিশ্বযুদ্ধে—
চলছে সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম মরণ বিষাণুর সাথে ?
কেহ কি আমরা পারবো বাঁচাতে ইচ্ছাগুলোর বাসনা কে—
এই করোনাকবলিত চার দেওয়াল ঘেরা ঘরে ?

নাকি তারা কঠিনাবরণের তমসার গহ্বরে-বদ্ধ ঘরে
কোনো মরণাপন্ন রোগীর মত,সরবে দীর্ঘ শ্বাস নেবে—
ওদের ফুসফুসের মুমূর্ষের খেলা এ শেষ শ্বাসে!
অথবা উল্কার ইচ্ছার মত এ ইচ্ছাগুলো সব
পুড়ে হবে ছাই বদ্ধ আবাসে!
নাকি ইচ্ছার লাশগুলো স্তরে স্তরে রচিবে পাহাড়—
সর্বকালের সেরা প্রযুক্তিক এ কম্পিউটারে!
আর ইচ্ছাপাহাড়ের ভারে এ কম্পিউটার
করবে না কোনো কাম আর বরাবর!
তখন কি কেহ দেখতে পাবে সেই ইচ্ছাগুলো—
দেখতে পাবে ইচ্ছাগুলোর মৃতদেহ ?
নাকি দেখবে শুধু এ মানব লাশ!
ঘরে বন্দি আজ—
         ***********
               *****
                   *