*******
ইতিহাস খুঁজে দেখো এসেছে কত মহামারী
এ ধরাসংসারে একে একে—লয়েছে কেড়ে
কত হাজারো মানব প্রাণ—ছেলে,বুড়ো,নারী;
সে দেখেনি কে মুসলিম,কে সনাতনী,
কে শিখ,কে জৈন,কে খ্রীষ্টান্—
অথবা কে অর্থে ছোটো বা কে ধনী—
সে বাছে নি কে ভিখারী,
কে মুর্খ অথবা কে বিদ্বান্!
মানুষ সেদিনও হয়তো প্রাণ খুলে কেঁদেছিল
আর বলেছিল ‘আর নয় মারামারি,
হিংসা ও হানাহানি—হিন্দু-মুসলমান;
কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ;জাতপাতের নিগড় ছেড়ে
বাঁচবো সবে একসাথে ‘সকলের তরে’’—
তা হয়েছে কি? বলো তোমরা উচ্চ স্বরে!
ধৈর্য্য ধরো—আমিও আছি তোমাদের দলে;
মাঝে মাঝে ভুলে যাই মানবধর্ম—জানি না কোন্ ছলে?
খুলে যায় শপথের মুঠ কোন্ ভুলের বশে
লাশের স্তুপে পাহাড় বাড়াই—মানুষের খোলস ফেলে!
মানুষের অথবা অবলা পশুর লাল তরলে
স্নান ক’রে গাহি’ উঠি আত্মার বিজয়পরশে!
কেমন এ মানব প্রাণ!নিজের হাতেই করে
খুন আরেক প্রাণ—ধর্মের নাম ব’লে!
করোনাকালে আবার শুনছি সে ধ্বনি—
মানব আর ভরিবে না ধরার এ শূন্য খনি
মারি’ আপনার ভাই বোন—অথবা পশু অবলা;
প্রতিবাদী শব্দঝড় তুলিয়াছে একসাথে—এ ধরনী!
জানিনা রহিবো কিনা আমি এ ধরায়—করোনার পরে;
দেখিবো কিনা ‘মানুষ-মানুষ হ’য়ে’ বাঁচিছে ধরে—
অশ্রুনালীর মুখ চিরে ভাসিবে সব মানব নয়ন
শুনে মানুষের করুণ সাহায্যের ক্রন্দন ৷
নাকি বহিবে গাঢ় লাল রক্তিম তরলের ধারা
মৃত নদীর মৃত প্রাণে—সেও চলিবে ধেয়ে
সাগরের পানে উল্লাসে পেয়ে নতুন জীবন!
অথবা যা ছিল কাল,আছে যা আজ,রহিবে
তা আগামে এমনি এ মানবধারা!
***********
*****
*