হায়!কত শত প্রাণকে তুমি জানালে
তোমার মধুর অমধুর চাকচিক্য নিমন্ত্রণে!
ঢাকঢোল পেটালে তোমার পাড়ার মোড়ে; তাঁকে আনবে বলে
বাজল সানাই ৷ তারপর মধুর প্রণয়ী স্বরে
সানাই ঢাকঢোলের পিছে চলল কয়েক শত প্রাণের সারি!
শুধু তাঁকে আনবে বলে;চলল জাকজমক গাড়ি!
সমাজের নিয়মের উলটো পথে হেঁটে  
তুমি নিয়ে এলে তাঁরে হাজার হাজার অর্থ বেটে!
তোমায় সেলাম সমাজের বহু পুরানো ব্যাধি লঙ্ঘনের তরে!
ভাল ফলের আশায় তুমি কিনে আনিলে ফলবৃক্ষরে—
পরিণত পরিপাটি তব ঘৃণ্য মনের খিদে মেটাবার তরে!
কত ভালোবাসা কত আদর যত্ন কত প্রেম করো তাঁরে—
নিয়মিত প্রতিদিন প্রতিবেলা তোমার মোহ সংসারে!
একদিন তুমি ঢেলে দিলে নিঃস্তব্ধ আঁধারে
তোমার অহংকারের তরল শুভ্র বীজ সেই বৃক্ষের মাতৃ গহ্বরে!
তারপর প্রায় শত তিন দিনে আসে তোমার পরিশ্রমের ফল!
নবাগত কচি ফলের বাহ্য দেহ গঠনে শুরু হয় কত ছল্—
এ বৃক্ষ দিতে পারেনি তোমার পূর্বাকাঙ্ক্ষিত ফলের স্বাদ;
তাই শব্দবাণ মুঠাঘাত আর অহর্নিশ চলে পদাঘাত!
উঠানের কোণে নীরবে বৃক্ষ কাঁদে এ অত্যাচারে;
গোপনে সে অশ্রু ঝরায় নিবিড় রাতের অন্ধকারে ৷
হায় রে মনুর পুত্র!তুমি নিশ্চিত জানো-
তোমার আপন দেহের তন্তুসম লিঙ্গ উপাদান
করে এ ফলের লিঙ্গ নির্ধারণ!
অথচ দিকে দিকে অত্যাচারিত কত বৃক্ষ মরে—
নরম মাটি পানি আর একটু প্রেমের অভাবে!
অথবা পুরানো বাসনা লালসা আবার জাগে তোমা' স্বভাবে-
নতুন বৃক্ষের কাঁচা রূপের তরে!
শিকড় সমেত তাই ফেল উপরে পুরানেরে!
ব্যস্ এক বৃক্ষের—এক কোমল গোলাপপ্রাণ গেল এভাবে!
                   ***********
                         *****
                             *