যেদিন আমি মরে গেছি, সেদিন জন্মেছে এক প্রেত!
সে তোমাকে তিলে তিলে মেরেছে;
সে তোমার হাতটা ভেঙেছে গার্লস স্কুলের গেটে,
তোমার চুলগুলো মাড়িয়ে গেছে মেলার ভীড়ে,
তোমার বিশ্বাসে প্রস্রাব করেছে ফেসবুকে,
তোমার হৃদয় পুড়িয়েছে বেশ্যালয়ে, পরস্ত্রীর শয্যায়!
কুমারির লজ্জায় যে ছিল অধরের প্রকম্পিত সুখ,
কপোলের লাল, অকারন হাসি,
তার প্রেত আজ সেই সুখ আর লজ্জার ভীতিময় ধর্ষক।
কি দারুণ অভিযোজন মৃত্যুর সাথে!
তুমি কি ভয় পেলে?
তুমি ভয় পেয়ে, সম্ভ্রমে, ঘৃণায় কোথায় যেন চলে গেলে,
মৃত্যুপুরী ছেড়ে জীবনের দেশে।
তোমাকে আর তাই খুঁজে পাচ্ছি না কোথাও;
না গানে, না কবিতায়, না সিগারেট-চায়ে, না একাকিত্বে, না বিশ্বাস-দর্শনে,
না জল-ফুল-প্রকৃতিতে, সাতশো কোটির এই পৃথিবীতে কোথাও তুমি নেই!
কোথাও না. . .
আমিই তোমাকে হত্যা করেছি তিলে তিলে!
আসলে তোমাকে খুন করতে করতে আমিই আত্মহত্যা করেছি!