লম্পট বোঝো না,
কমলাকান্তের আফিম বোঝে রাধার ব্যথা!
দিব্য চোখে দেখে রাধার চোখের চাহনি, অন্তরের আগুন;
কতটা বৃষ্টির পরে সে আগুন নেভে তাও দেখে,
ঝাপসা চোখের দু'এক ফোটা বইয়ের পাতায়-
ছাপার অন্তরালে ছাপা হয়ে থাকে সে কথা।

লম্পট বোঝে না,
কমলাকান্তের আফিম বোঝে কাম আর প্রেমে কতটা ফারাক,
কত জল ঝরে তবে বিরহ-যমুনা,
তবু ওপারেই বাঁজে কালার মিলনের সুর!

লম্পট বোঝে না মন,
সে বোঝে শুধু দেহজ সুখ, দেহসুখের ভাগারে পঁচে মন।
পঁচা মন বোঝে না রাধার আকুতি,
বোঝে না মৃত্যুও শ্রেয় হয় কোন ক্ষণে এতটুকু শান্তনার অভাবে,
দড়ি-কলসী-যমুনাজলাঞ্জলী!

শুধু কমলাকান্তের আফিম বলে যায় সব সত্য,
দৈববাণীর মত।
লম্পট কি লিখে রাখে সে কথা?