হালকা পাতলা মেয়েটি যেমন নামটি পপি রায়,
অবুঝ মেয়ে বসত করে সবুজ ঘেরা গাঁয়।
মাঝে মাঝে হয় দেখা
চেহারা বেশ মধুমাখা
চোখ দুটো বাকা বাকা যখন তুলে চায়,
পারে না লোক ফেরাতে চোখ তাঁর দিকেই তাকায়।
সকাল দুপুর বাজিয়ে নূপুর পথে যেতো সে,
গুনে সতি কোমলমতি সবাই ভালোবাসে।
রক্ত আলতা ধবল পায়
চলতো সোজা না তাকায়
বসতো যখন বটের ছায় ক্লান্ত নিশ্বাসে,
ফুলের ঘ্রাণে আকুল প্রাণে মন ভরাতো সে।
নদীর জলে ইচ্ছে হলে বলতো দিয়ে ঝাপ,
পদ্মফুল আজ করেছো ভুল পাবে না আর মাপ।
জলের সাথে কানাকানি
মন ছিল তাঁর অভিমানি।
সব কিছুতেই ছিল রাণী নিশ্চল নিষ্পাপ,
তাঁর কথায় কথায় ছিল যেমন আনন্দের সংলাপ।
স্বপ্ন কত বাস করত তাঁর চোখের পাতায়,
ভাবতো তার মন করে এমন দিন যেন তাঁর যায়।
মুখ ছিল প্রতিমা মূর্তি
হাসি খুশি করতো ফুর্তি।
তা হল আজ সবই স্মৃতি বসন্তের ছোঁয়ায়
সকল ছাড়ি স্বামীর বাড়ি আজ পপি রায়।