হল রুমে ঘুমিয়ে ছিলো মৌমিতা ঠিক ভোরে,
জেগে দেখে তার কলিগই হাতটি আছে ধরে।
কি করবে আর সে নিরুপায় শুধু আছে চেয়ে,
ভাবেনি তার কলিগ এমন সেওতো একটি মেয়ে।
তার উপরে ঝাপিয়ে পড়ে ধর্ষকেরই দল,
চোখ দিয়ে তার রক্ত ঝরে ঝরেনিতো জল।
দশ পনেরো শরীরভোগী একশো তেরো দাগ,
ভাবতে ভীষণ কস্ট যে হয় কে নেয় দুঃখের ভাগ।
ভোগ করে তার নিথর শরীর সবাই-ই যায় চলে,
এমন প্রমাণ লোপাট করে আত্মহত্যা বলে।
নারীর ঘরে জন্ম তোমার সে-সব ভুলে গিয়ে,
মত্ত তুমি স্বাধীন মতো মৌমিতাদের নিয়ে।
এমন করে কত মেয়ের জীবন হবে শেষ,
নারীর কি নেই স্বাধীনতা নেই কি আপন দেশ।
কতবার যে থামলো কলম কি লিখি কবিতা,
এমন যেনো হয়না কারো বাঁচুক সব মৌমিতা।
কবি সম্মিলন ২০২৪, দীঘা