ভূতচতুর্দশীতে চোদ্দপুরুষ নাকি থাকেন আশে পাশে,
বাজারে চোদ্দশাক দেখতে পেলে,প্রাণে ভরসা আসে।
একটু সাদাসিধা বটে তবে খুব বেশি ট্যারা ব্যাড়া নই,
কাউকে গাছে তুলে দিয়ে, কখনও কেড়ে নিই না মই ।
ঘরের মানুষ টি আমার যেন প্রায় পশুপতি ভূতনাথ,
গলার স্বর পাল্টে বলেন কথা ওদের ভাষায়, হে নাথ !
রাতে ম্যাও ম্যাও ম্যাএ্যাও করলেই বেড়াল হাজির, সত্যিই বেড়াল দম্পতির ঝগড়া, কানে আসে আমার।
সকাল দশটার পর কিচকুচ কিচকিচ কুচ কুচ শব্দ,
উঁচু ভেন্টিলিয়রে কাঠবেড়ালির বাসা থাকে নিঃশব্দ ।
ওদের ভাষায় যদি কিচ কিচ কুচ কুচ করে হয় ডাকা,
বাসা থেকে মুখ বের করে যেন বলে,এই দিকে তাকা।
আরেকটু কথাতে, ওই টুকু ফাঁক দিয়ে গলিয়ে শরীর,
হামাগুড়ি দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে ঘরের ভেতরে হাজির।
ঢুকেছে সেটা খাটের তলায়, আমি পড়ে যাই চিন্তায়,
কি করে বেরোবে সেটা ? এবার ওর কি হবে উপায় !
এ তো আর খাইবার পাসের কাছের তোরা বোরা নয়,
ও যে সামান্য কাঠবেড়ালি, ওসামা-বিন-লাদেন নয় ।
প্রকৃতির কাছাকাছি থেকেও ভুলে যাই নিয়ম পালন,
কবে যায় ভাদ্রের তেরা বেরা, শাক খাই যখন তখন।
সকলে ভালো থাকলে,অবশ্যই ভালো থাকে এই মন ।