বার্ধক্য এসে গেলে কি, তালকানা হতে বাধা নেই ?
কিন্তু যদি রাঁধতে গিয়ে হুশ না থাকে, তার আগেই !
আজ রবিবার, মাছ মাংস নয়, রেঁধেছি অন্য রান্না !মুড়িওয়ালী দিদি এসেছে সকালে বাজারের আগেই,
দিয়ে গেছে পাট শাক আর হাঁসের ডিম কয়েকখানা।
বেশ কিছুদিন খাওয়া হয়নি হাঁসের ডিমের ডালনা !
খেলেও...তা হয়তো রান্না করা হয়েছিল গোটা গোটা। কিন্তু মায়ের হাতে সূতো দিয়ে আধখানা করে কাটা !
আহা ! মুখে যেন লেগে আছে অবিকল সেই স্বাদ টা ।
আমিও রেঁধেছি অমন,সে বছর কয়েক আগের কথা,
নতুন রাঁধুনী নই, আবার করা যেতেই পারে সে চেষ্টা!
সেদ্ধ ডিম ছুলে সূতো দিয়ে একদম সমান করে কাটা,
ছিল সবটাই নিখুঁত, ব্যাটারে চুবিয়ে ভাজা প্রায় শেষ,
ফটাং শব্দে আমি চকিত,গরম তেল ছেটে খানিকটা!
কপাল, হাত, মুখ কোনো কিছুই যে আর বাদ নেই__
জ্বালা কমাতে আগে ঠাণ্ডা জল, ভরসা টুথপেস্টেই !
বকুনি খাবার পরে, সেপগার্ডের কথা মাথায় আসে ।
মোটামুটি কমে এসেছে, তাই তো এখন কবিতা হাসে!