এখন শরৎ কাল, আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা, শীতের খবরের অপেক্ষায়,নতুন গুড় পাওয়া যায় না।
আজ সকালে, কি আনন্দে, ঘুগনি করেছিলাম আমি,
কাবুলি ছোলার ঘুগনি নাকি ওদের ভালো লাগে না !
দোকানে যে বানায় মটর দিয়ে, কি বলি হে অন্তর্যামী !
বিকেলে পায়েস করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না,
কর্তার প্রশ্ন, "আজকে কি গান্ধী বুড়োর জন্মদিন ?"
"ধ্যাৎ, একমাস আগে পেরিয়েছে তো,এখন নভেম্বর !
আজ পয়লা,চোদ্দতে শিশুদিবস, জন্মদিন জহরের।"
জানি, কারোর না কারোর জন্মদিন তো আজ বটেই,
রোজই তো কেউ জন্মায়, কারোর জন্মদিন অবশ্যই ।
সেইজন্যেই তো চেনা কারো জন্মদিন না হলেও,
ইচ্ছে হলে যে কোনো দিনই পায়েস খাওয়া যায় ।
"তুমি ভালো পায়েস বানাতে পারো না মাতা____
অবশ্য গুড় দিয়ে বানালে, হয়না একেবারে যা তা !
আসলে সাদা রঙের পায়েস আমার ভালো লাগে না,
শীতকালের খেজুড়ের গুড়ের পায়েস,ভোলা যায় না"
পায়েস বানাই যে আমি, বলা কওয়া নেই,যখন তখন,
যা থাকে, দুধ-চিনি-মিছরি-কিসমিস যেমন তেমন।
পায়েস তৈরিতে কমপক্ষে এক লিটার দুধ তো চাই,
ছেলের বাবা করেন ফোঁস, " বললে আমি আনি না ?
"তা নয়, কবে কখন বানাব, তা তো আমিই বলি না !"
মুশকিল এটাই, গোয়ালারা জল ছাড়া দুধ বেচে না,
আর ওসব কোম্পানির প্যাকেটের দুধ পছন্দ হয় না।
ভালো পায়েসের জন্যে আমুল গোল্ডের টেট্রা প্যাক,
আর দরকার খেজুরের গুড় অথবা লাল বাতাসার ।
হঠাৎ করেই আবার ফুট কাটেন আমার কর্তামশাই,
"লাল বাতাসা ! আমি যেন পড়েছিলাম লাল ঘুঘু ই ! "
কোথায় যে "লাল ঘুঘু !" আর কোথায় লাল বাতাসা !
এখন মোহনবাটি বাজারেই পাওয়া যায়,নয় তামাসা।
লাল বাতাসার নামে ছেলে ওঠে লাফিয়ে, মুখে বলে,
"আমি কিন্তু এনে দিতে পারি আজকেই, তুমি বললে"
বেশ তো নিয়ে আয়, লাল বাতাসা টকটকে লাল নয়,
তরুণ সূর্যের মত হালকা, ক্রিম কালারের বলা যায়।