নদীয়ার কমলাপুরে ছিলেন মাধব চন্দ্র পাল,
তাঁর ছেলের নাম শহীদ জ্যোতিষ চন্দ্র পাল ।
বাংরিপোশি, বালাসোর, মহালডিহি, বুড়িবালাম,
এসব শুনলেই মনে পড়ে যায় বাঘা যতীনের নাম।
সাথে ছিল আরও চার জন, চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী,
মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত, নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত আর____
সেই জ্যোতিষ চন্দ্র পাল, মৃত্যু সহজে আসেনি কাছে,
আন্দামানের সেলুলারের অত্যাচারে স্মৃতি গেছে ।
শুধু তাই নয়, শেষ পর্যন্ত পাগল হয়ে সময় কেটেছে !
যুদ্ধে গুলি খেয়ে খেয়ে চিত্তপ্রিয় তখন মৃত্যুশয্যায়, চিত্তের জল পিপাসায় ছটফট দেখে ঠিক থাকা যায় !
তাই তো নেতা বাঘা যতীন শেষে করেন আত্মসমর্পণ।
জল দিয়েও চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরীকে বাঁচানো যায় নি,
পরদিন বাঘাযতীন কিন্তু টেগার্টের হাতে জল খাননি!
চার্লস টেগার্টের অনুরোধ ফিরিয়ে করেন মৃত্যুবরণ ।
বিচারে নীরেন্দ্রনাথ আর মনোরঞ্জন মৃত্যুদণ্ড পেলেন,
এ যেন তবুও ভাল, বেঁচে কষ্ট পাওয়া থেকে বাঁচলেন।
শেষ কটা দিন পাগল হয়ে বহরমপুরে পাগলা গারদে,
জ্যোতিষ চন্দ্র পালের দিন কে জানে কেমন কাটছিল,
তবে সেলুলার জেলের অত্যাচার তো শেষ হয়েছিল !
সুদূর আন্দামানে নয়, বাংলার মাটিতে মৃত্যু হয়েছিল।