এ শহরে প্রতিদিন হ্যালোজেনে ফিকে হয় রাতের গজল,
মুছে ফেলা রোজ প্রাতে মেঝেতে পায়ের ছাপে- ঘুমহীন রাত,
গাণিতিক অভিলাষা লিখে নেয় আলগোছে- নব ধারাপাত,
গলা সাধে ভোরবেলা পরভৃৎ,- ঠোঁটে তার- ধ্রুপদীর ছল।
উপভোগে- আগামীর নেশার বেঘোরে যদি থেকে মশগুল-
কবিতার মৃতদেহে সহজেই লিখে দাও শত অজুহাত;
অগণিত জনস্রোতে- হতে পারে আমাদের আলাদা প্রভাত!
আমিও নিয়তি হয়ে- করে দিতে পারি শত প্রতীক্ষা নিষ্ফল!
কাঁচের দেয়াল গলে মেঘ ছুঁতে পার যদি, আমিও গোপনে,-
কুয়াশা সরিয়ে ঠিক খুঁজে নেব তটভূমি- ঢেউ গুনে গুনে।
মাথায় আঁচল রেখে রুখে দিতে পার যদি হাজার বরষা;
পাল তুলে খর বায়ে পাড়ি দিতে পার যদি দূর বাতিঘর;
আমিও তাদের মতো মরু পথে শিখে নেব বেদুইন ভাষা,
বাঁচার খোয়ারি নিয়ে- ভেসে র’বো শত শত মৃতের উপর।
(ফরাসি সনেট, অক্ষরবৃত্ত ছন্দ, পর্ব বিন্যাস ৮+৮+৬)