দর্শক: শুভেচ্ছা স্বাগতম, সভাপতির আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগ,,,
প্রথম পক্ষ (কবি):
“আমায় কবি বলে কবির জাত খোয়াবি শেষে,”
বলতে গেলেম এই কথাটি, ঘড়াৎ কাশি কেশে,
মাইক্রোফোনটা অমনি বিকল কাশির বেজায় দোষে।
দ্বিতীয় পক্ষ:
ওরে ধর ধর ধররে ধর মাইক তুলে ধর,
ওহে ফটিক, বাবা কোতায় গেলি, ব্যাটা হয়েছে নচ্ছাড়,
কে আছিস ওরে, মাইক্রোফোনটা সারার যোগাড় কর।
প্রথম পক্ষ:
বলি…
তৃতীয় পক্ষ:
আহা! বলবে আবার কি! তোমার কতা শুনবো বলেই আসর করেচি,
কদ্দুর থেকে এলুম, তোমার সুনাম চারিদিকে, ধন্য হয়েচি,
তোমার কতাই শুনবো বলে আসন গেড়েচি।
দ্বিতীয় পক্ষ:
এই যে মাইক বাবাজী, শিগ্গির করো,,, সভাপতির সময় বড়ো টান,
নাচ শেষ হলেই চট বগলে দৌড়ুবে সটান,
কবি তোমার কথার নাহয় অল্পই দিও টান।
মাইক বাবাজী:
(ঘড়াৎ ঘং ঘড়াৎ ঘং কেচুর কুচুর ঝুপ) একদম ঠিক আছে,
এই মাইকেই অগ্নি কন্যার আগুন বয়ে গেছে,
এবার কবি, সব ঠিক আছে, সব ঠিক আছে।
প্রথম পক্ষ:
আমায়,,,
দ্বিতীয় পক্ষ:
আরে আরে হেমন্ত যে, দেকো আমার কপাল কেমনতর,
শিগ্গির এসো, শিগ্গির এসো, আসন গ্রহণ করো,
ইস! কবি তোমার কাব্য নাহয় সার সংক্ষেপ করো।
প্রথম পক্ষ:
আমায় কবি ব,,,
তৃতীয় পক্ষ:
ও বাবা বাবারে বাবা! চেয়ার খানায় ছারপোকা নাকি,
কেমনতর কামড়ায় দিয়ে আমার চোখ ফাঁকি,
এই যে ফটিক,
গোটা দুয়েক ছারপোকা চক নিয়ে আয় দেকি।
দ্বিতীয় পক্ষ:
কবি ভায়া এবার বুঝি সময় বয়ে গেল,
শিগ্গির বলো, সংক্ষেপ করে অল্প নাহয় বলো,
বড্ড গরম, সভাপতির মেজাজ বোধহয় গেলো।
প্রথম পক্ষ:
আহা! এমনতর জীবন যদি সার সংক্ষেপ হতো!
ক্ষুধার জ্বালা, ব্যামোর জ্বালা সবই কমে যেতো,
কমতো যতো লোভের ক্ষুধা, কমতো হৃদয় ক্ষত।
সংক্ষেপনে কথার ঝুড়ি, কোটয় এসেছে,
সংসারে টান, পেটের জ্বালা সমন করেছে,
এইখানেতেই খতম করি, অনেক হয়েছে।