প্রথম লিপিতে সেই লিখে রাখা বেদনার- একঘেয়ে নোনতা আস্বাদ,-
নরম পালক হয়ে, গেঁথে থাকে রক্তে নাওয়া স্পুনবিল গোলাপী-ডানায়।
বিলুপ্ত বাউল তার ঘরছাড়া স্বরলিপি লিখে দিয়ে নহলী পাতায়-
হেঁটে গেছে এই পথে, বিবাগি হৃদয় করে সে সুরের গোপন আবাদ।
কোন এক আত্মঘাতী চিত্রকর, গায়ে তার- বিজয়ের তীব্র অপবাদ,-
এঁকেছিল ক্যানভাসে, - শত শত নর-নারী সুধা ভেবে শিশির কুড়ায়।
মাথা তুলে দূরাকাশে টিকে থাকে সেই ঘুড়ি- সুতা যার মাজানো মাঞ্জায়!
মাটি যার ঘাম চেনে, আয়েশের পান্তা-নুনে তারই তো ঘনায় বিস্বাদ!

বিশালে বাঁচবে বলে; বানভাসি তমালী-র পুষে রাখা জলজ স্বপন-
স্থাণু ঐ তরু সম আদিম শিলার বুকে গেড়ে দেবে কঠিন শিকড়,-
ক’টি দিন পাড়ে এসে, দেখে তার কৃশকায় কলেবরে, ধরেছে পচন।
ব্রততীর অভিলাষা- জনমের দাগে আঁকা ধুলো মাখা, মলিন, ধূসর;
দেবব্রত হাতে নিয়ে উঁচু শিরে চিরদিন- মহীরুহ ছুঁয়েছে গগন।
সব হারা পথে যেতে যা কিছু দাঁড়িয়ে দেখে সে কেবল পথের কাঁকর।


শব্দ ব্যাখ্যাঃ
তমালী > জলজ উদ্ভিদ
ব্রততী > লতা জাতীয় ছোট গাছ

(পেত্রার্কীয় সনেট, অক্ষরবৃত্ত ছন্দ, পর্ব বিন্যাস ৮+৮+১০)