এ অবধি অনেকটা সময়ের হয়ে গেছে বৃথা অপব্যয়।
তোমরা কোনদিনও পবিত্র ছিলে না ঐ দীর্ঘ অতীতের
কয়েকটি প্রাণ ছাড়া। আমি লিখছি শেষের সেই বিনাসের
বিশেষ দ্রষ্টব্যে বসে- জগতের সর্বশেষ সে পরিক্রমায়।
বিবস্ত্র শরীর থেকে শৃঙ্খলিত ছাপ লেগে আঁধারের গায়;
তোমাদের আবিষ্কার করি সৌরজগতের বিষ্ঠার কীটের
মতোন। হায়! মানুষ! বিস্ফারিত চোখে দেখি উদ্ভ্রান্ত উটের
মতো ধুধু বালুচর, নিষ্পত্র বালিয়াড়ির শেষ সীমানায়।

ডিঙিয়ে অজস্র অশ্রু, বিপ্লবে-বিপ্লবে মরে শতকে-শতক
সফেদ ঘোড়ার নালে উড়িয়ে ধুলার মেঘ তোমারই জন্য
এনেছিলে কয়েদীর শেষ ইচ্ছা- লেখা আছে সেই পদাবলী।
আজও সেই তেজস্বী অশ্বের লাগাম টানে খবিস-শাবক;
কোমল আঙিনা ‘পরে ভ্রষ্ট সে ফেরেশতার অনুগ্রহধন্য
হৃদয় নিয়ে আজও বিকারিত তুমি খেলো চরিত্রের হোলি।


(মিলটনিক সনেট, মিল বিন্যাসঃ কখখক:কখখক::গঘঙ:গঘঙ)