আষাঢ় আনিল মেঘ মেদুর বরষা,
চাষার গায়ের রোদের গন্ধ
মুছিয়ে দিতে সহসা;
আষাঢ় আনিল মেঘ মেদুর বরষা।
কামিনী কলিরা শর্মিলী আঁখি মেলে,
চপল বালক আত্ম হারায়
নব পঙ্কিল জলে;
মায়ের বকুনি, কিল, চড় সব ভুলে।
ডানা ভেজা পাখি নিথর বসিয়া রয়,
রাখাল বালক ধেনু লয়ে ছোটে
পেছন ফিরে না চায়,
ভাটাম পাতারা নিঝুম ভিজিয়া যায়।
খড়ের চালায় বৃষ্টি ঝরার কালে,
আমি আর আপু খাতা ছিড়ে ছিড়ে
নাউ ভাসিয়েছি জলে,
মা কতো বকেছে শাসন করার ছলে।
ত্যাক্ত করেছি বাবাকে বলে বলে,
নীল মাধবের গল্প শুনেছি
বসিয়া বাবারি কোলে; যখন
ঝিরিঝিরি বারি মৃদঙ্গে বোল তোলে।
বালক আর ব্যাঙে সুরের ভেংচি কাটে,
হংসের পাল বৃষ্টির তালে
ছপাত ছপাত দোলে,
বরষা নামিল রুপসা নদীর ঘাটে।
হুড়ুম ধুড়ুম মেঘেদের আনাগোনা,
ভ্রমর বিহনে একলা পিয়ার
মন করে উচাটন,
বৃষ্টিরে তুই একটুকু ছেড়ে যা-না!