শহরের অজস্র ইমারতের ভিড়ে,
মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো,
বিশাল অট্টালিকার ছাদগুলো,
কখনো-সখনো দান করে গুচ্ছ গুচ্ছ অনুভূতি।
মস্ত খোলা আকাশের মলীনতা,
অকপটে অবলোকনের অগোচরে,
হঠাৎ কিছু ক্রোশ দূরের একটি ছাদে,
অপরিচিত মায়াবনহরিনী রূপী একটি মেয়ের,
ঝাপসা মুখআভা,
আমার হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক গতিতে,
বাড়িয়ে দিতে থাকল।
প্রতিদিনই একমুহূর্ত,
ঐ শ্রীমুখ দর্শনের অপেক্ষায়,
আমার হৃদয়আঙিনায় প্রবলবেগে,
দুঃসহরকমের তীব্র ঝটিকা বয়ে যেত।
খোলা হাওয়ায়,
তরঙ্গপ্রবাহে বহ্যমান তার কেশরাশি,
আমায় সাগরের অতলগভীরে,
ডুব দেয়ার অনুভূতি জাগান দিত।
দূর হতে তার লাস্যময়ীতা,
আমি অবাক চিত্তে দৃষ্টিগোচর করতাম।
মাঝেমধ্যে তার মাধুরী কন্ঠের রবীন্দ্রসংগীতের লাইনগুলো,
অন্তরাত্মায় কোকিল কন্ঠের সুমিষ্টতায় ভরিয়ে দিত।
প্রত্যহ ঐ স্বল্প সময়টুকুতে,
আমার মনবাড়িতে নতুনকরে প্রাণপ্রাচুর্যতা বিস্তৃত হতো।
বিরাজ করতো একপ্রকার অস্থিরতা,নিদারুন চঞ্চলতা!
তাহলে কী আমি প্রণয়বিলাসে ঝাঁপ দিলাম?
কিন্তু আমার প্রেম যে,
তার নিকট নিতান্তই গুপ্ত ও অপরিজ্ঞাত।
অজান্তেই সে আমার সমগ্র হিয়াজুড়ে,
অপরিচিত প্রণয়িনীরূপে স্থান করে নিয়েছে।
একেই হয়তো বলে একপক্ষীয় প্রেম।

০২/০৯/২০