নষ্ট দূর্গা
-------------
বাবা আমার কাজ করতেন,
সারারাত জেগে।
বাবা যখন বাবা হলেন,
তখন তিনি রোগে।।
যমে মানুষে টানাটানি,
টানাটানি সংসারে।
মা তখন কাজের মাসি,
লোকের ঘরে ঘরে।।
এবাড়ি ওবাড়ি কাজ করে,
যেটুকু তার আয়।
বাবার পথ্যে সব টুকু তার,
নিঃশেষ হয়ে যায়।।
অসুর মেরে তোমার দূর্গা,
বারে বারে পূজিতা হয়।
আমি দূর্গা অসুরের সাথে,
বিছানায় হই লয়।।
পাড়ার লোকে আমায় দেখে,
মুখ টিপে টিপে হাসে।
আমি দূর্গা লাঞ্ছিতা হই,
ট্রামে কিংবা বাসে।।
তোমার দূর্গা যুদ্ধে সাজে,
দশ হাতে তার অস্ত্র ।
আমি দূর্গা রং মেখে আজ ,
শরীরে মলিন বস্ত্র ।।
তোমার দূর্গা যুদধ করে,
সঙ্গে দেবতা কূল।
আমি দূর্গা লড়াই করি,
খোপায় রঙিন ফুল।।
তোমার দূর্গা যুদ্ধে ফিরে,
বীরের সন্মান ।
আমি দূর্গা ভোর রাতে ফিরি,
নতুন জলে স্নান।।
তোমার দূর্গার ভরা সংসার,
লক্স্মী - স্বরস্বতী ।
আমি দূর্গা শুন্য ঘরে,
বাঁচার আকুতি।।
তোমার দূর্গা বারে বারে ফেরে,
বছর বছর ধরে।
আমি দূর্গা লাশ হয়ে বাঁচি,
বিসর্জনের সুরে।।
পার্থ গোপাল চক্রবর্তী