নদী ও আমি
-----------------
ঘাটের পাশে নদী এক----
সকাল সাঁঝ ছলাৎ ছল।
হাজার গল্প বুকে আমার----
দুপুর বেলা জলকে চল্ ।।
টুকরো টাকরা গোরস্থালি, ওই দূরেতে সারিগান ।
ফেলে আসা বাপের বাড়ি, এপারেতে মন আনচান ।।
নদী জানে মনের কথা , ছোট্ট বেলার পুতুল খেলা ।
রোদকন্যারা নাইতে আসে, ধানখেতে পিঠখোলা।।
নদী আমার কান্না জানে, নদী জানে অভিমান ।
ওর ঢেউয়ের কল্পলোকে, দূরসাগরে অভিযান।।
অনেক দূরে যাস তুই নদী,
পাহাড় শেষে অচিনপুরে।
আমার কথা পোঁছে দিবি,
দূর ওই নীলসাগরে।।
আমায় তুই সঙ্গে নিবি --
আমার মনের মিতে হবি?
আলুক শালুক কুড়িয়ে দিবি--
সুখ দূঃখের কথাও কবি।।
দূ-দন্ড জিরিয়ে নে না,
তোর হাতে কি সময় আছে!
যা দেব তা ফিরিয়ে দিবি,
ঋন রাখিস না কারও কাছে।।
অনন্তকাল বয়ে চলা,
পাড়ি দিবি অনেকদূর।
তোর শরীরে ঝিলিক দিয়ে --
মুচকি হাসে সোনা রোদ্দূর।।
তোর কাছেতে ছুটে আসি--
আয় না নদী আমার কাছে।
গল্প করি দুজনাতে---
বেলা এখন অনেক আছে।।
বালির উপর জলের রেখা--
মূঠোয় চাওয়া ভালোবাসা।
পাইয়ে দেনা নদী আমায়--
এর জন্যেই পাড়ে আসা।।
নদী তুই আমার আলতা সোহাগ--
তুই আমার গয়নাগাঁটি।
তোর শরীরে শান্তি আমার ---
বিছিয়ে দে না শীতলপাটি।।

পার্থ গোপাল চক্রবর্তী