মহাবিশ্বে কেবল একটি জিনিসই আছে,
যার কোন সৃষ্টি বা বিনাশ নেই।
যা কেবলই নিত্য, অব্যয় ও অক্ষয় এবং যা থেকে সৃষ্টি এ জগৎ- বিষ্ময়!
যা থেকে সৃষ্টি মৌলিক কনিকা, মৌলিক কনিকাগুলো মিলে পরমানু,
পরমানুগুলো মিলে হল মৌল- হাইড্রোজেন,অক্সিজেন ইত্যাদি;
আর মৌলে মৌলে মিলে হল যৌগের অনু।
যৌগের অনুই বস্তুকণা আর বস্তুকণা থেকে বস্তু।
অগণিত বস্তু হলো- গ্রহ,উপগ্রহ,নক্ষত্র,গ্যালাক্সি তথা বস্তু জগৎ।
বস্তুজগতে এক সময় হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের মিলনে এলো পানি।
পানি বয়ে আনলো বিবিধ জড় অনু,
এক জায়গায় জড়ো করে তৈরি করল জটিল অনুর কোষ-
যে কোষ নড়াচড়া ও স্বয়ংক্রীয় চলাচলে সক্ষম!
এটাই সৃষ্টির প্রথম আদি প্রাণ,নাম তার জটিল জৈব কোষ-
সম্পূর্ণ জড় থেকে সৃষ্টি হলো জীবের একটি একক কোষ।
এই একক কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত ছিলনা,
তাই নিজের কপি করতে জানলেও জড় না জীব?যেতো না ঠিক চেনা।
এইভাবে একক কোষ বিভাজিত হয়ে হয়ে সৃষ্টি করল বহুকোষের।
একসময় একক কোষের প্রাণী থেকে এল প্রাণী- বহুকোষের।
ধীরে ধীরে নিউক্লিয়াস সুগঠিত হলো,
জলজপ্রাণী শুরু করল চলাচল জলে ও স্থলে।
সৃষ্টি হল উভয়চর-এদের কেউ থাকতে চাইল স্থির, কেউ চলল দেহ ঠেলে ঠেলে।
স্থির প্রাণীরা গেল উদ্ভিদবনে,আর সচল থেকে এল জল ও বনচারী-
এই নিয়ে আমাদের আজিকার উদ্ভিদ ও প্রাণী।
সুগঠিত হতে থাকল বহুকোষী জীবের গঠণ,
এলো জীবের বৈশিষ্ট্য রক্ষাকারী উপাদান- ডিএনএ,আর এন এ ও কার্যশক্তি উৎপাদী মাইটোকন্ড্রিয়ন।
শুরু হলো বহুকোষী জীবের নানান বিবর্তন।
বিবর্তিত হতে হতে একসময় এলো স্তন্যপায়ী প্রাণী,
তাদের থেকে বানর প্রজাতি আর বুদ্ধি ও মগজের বিবর্তিত ধারায়,
অবশেষে বানর প্রজাতি থেকে -
আমি কে? নিজেকে এমন প্রশ্ন করতে পারা সুবুদ্ধির মানব জাতি।
মানব জাতি অনেক আশ্চর্য কিছুই সৃষ্টি করল-
অনেকগুলো হানাহানির ধর্ম ও সর্বপারদর্শী-সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তার অন্যতম দুইটি।
হে প্রিয় পাঠক, ভাবছেন তাহলে সবকিছুর মূলে কি,
যার সৃষ্টি বা বিনাশ নেই অথচ তা থেকে এতসব সৃষ্টি-
বিজ্ঞান বলে এ জগতে এমন একটিই আছে কেবল নেই দ্বিতীয়টি,
তা হল সর্বপারদর্শী কোন জীব সত্তা নয়,সে যে নিতান্ত জড় শক্তি-
যার নেই কোন লোভ,ভীতি প্রদর্শন,আরাধনা নেয়ার ইচ্ছা কিংবা আসক্তি।
11/03/2015
4:54 pm
tls