হে ভুবন ভোলানো প্রেম,তুমি নব জন্ম দিলে আমায়!
তোমারই কারনে আজ যুবক হয়েও আমি শিশু সুলভ আচরণ করি,
পাই সব কিছুতেই এক অপার্থিব সুখ!
প্রেমের দোকান জমজমাট আজি,খরচ করে মজা পাই,তাই দুহাত খুলেই করি।
তোমারই কারনে সর্বদাই ভুলোমন আজ,থাকি উদাসীন সারাক্ষণ।
চোখে আজ কেবল একটা ছবিই করে জ্বল-জ্বল,
আর বাকি সবই ঝাপসা,অস্পষ্ট, করে সদা টলমল।
কোনদিন যা করিনি,করার কথা কখনোই ভাবিনি,
তোমারই কারণে আজ সকলই করি,চির যৌক্তিক মানুষ আজ খুঁজিনা কোন যুক্তি।
তুমি আনলে জীবনে চির অচেনা স্বাদ অমৃত,
জ্বলন্ত এ জীবনের ভস্মে ঢাললে অনুপ্রেরণার ঘৃত।
তোমারই কারণে কত চালাক হয়ে গেলো হঠাৎ বোকার হাতি,
আবার কত হাদা-কেদারাম হঠাৎ মেলে দিল চালাকির কালো ছাতি।
সদ্য প্রেমে পড়া কোন যুবকের এই হলো প্রেমের মহাকাব্যিক অভিব্যক্তি।

সদ্য ছ্যাঁকা খাওয়া যুবকের কাছে ঠিক বিপরীত এই প্রেমের অনুভুতি।
সে বলে হে ছলনাময়ী প্রেম, নানা ছলনায় অজান্তে আমায় ভুলালি-
জানলে কি আর এই জীবনে তোর কোপানলে পড়ি!
হে সর্বনাশা প্রেম, কি জ্ঞাননাশি ঘোল আমায় খাওয়ালি;
শুধু তোর কারনেই এই দৃঢ় চেতন টগবগে যুবক আমি,
বোধ হারিয়ে শিশুর মত করলাম কি মহা আহাম্মকি!
শুধু তোর কারণেই আজ এই চিত্তে নাই সুখ,মদ-ভান আজ নিত্যসঙ্গী।
প্রেমের বাজার খুবই লোকসানের,চারিদিকে কেবল দেনাদারী।
বড্ড বেশি লগ্নি হয়ে গেল,উঠে এলোনা কিছুই, সুদে-আসলেই গেল সকলি।
প্রেমের বেসাতি খাবে এমন ভরাডুবি,
জানলে কি আর করতাম এই সাধের প্রেমের দোকানদারি!
তোর কারণেই মেধাবী আমি উদাসিনতায় গোল্লায় গেলাম,
করি ফকিরের মত ঘুরাঘুরি;
যদু-মধু করল ফেল,সুবোধ বাবু হারালো তার অন্ধের-যষ্টি চাকুরি।
প্রেমের মরা জলে ডোবেনা,পোড়েনা তারে অগ্নি,
তাই তো আজ চারিদিকে কেবল প্রেমের প্রেতাত্মা দেখি-শুধু বিভৎস একই ছবি!
প্রেমের ভুত নেমে গেল আমার,তাই আবারো খুঁজি যুক্তি-
এত সব জেনেও কি শুদ্ধি আসবেনা,
চুটিয়ে প্রেম করবে হালের উঠতি যুবক-যুবতি?
আমি জানি সবই হবে আবার আগের মতই,
হরমোন চালিয়ে যাবেই তার অব্যর্থ বাহাদুরি।
আবার সবাই প্রেম করবে, আবার ছ্যাঁকা খেয়ে পড়বে সবাই-
পুনঃ পুনঃ  আমার এ বিপ্রতীপ কাব্যখানি।

27/02/2015
6:44 pm
d.m