শুধু তোমার ভালোবাসা ও সান্নিধ্য লাভের জন্যই কি আমার জন্ম?
কত বড় ভালোবাসার ডালা সাজিয়ে রেখেছিলে যে,
জন্ম লগ্নেই বিদায় জানাতে হলো পিতা-মাতার ভালোবাসা?
নিজের সর্বস্ব বিসর্জন দিয়েই সাজালে আমার জীবন,
চলার পথের সকল কাঁটা এক এক করে দুরীভূত করে,
অক্লান্ত পরীশ্রমে বন্ধুর পথকে করেছ মসৃন ও সুগম।
নিজের দুঃখকে দারিদ্র্যের সিন্ধুকে ভরে,আমার সুখেই সুখী হতে চেয়েছ সদা;
নিজের খাদ্য আমাকে খাইয়ে অভুক্ত থেকেছ কত!
নির্বাক শুধু চেয়ে ছিলাম আমি কিছুই ভুলিনি তা।
দারিদ্র্যের কষাঘাতে বহু বার ডেকেছি ঈশ্বর,খোদা,বিধাতা-
কেউ কখোনোই সাড়া দেয়নি কেবল তুমি অগ্রজ বোনটি ছাড়া।
তাই আমার জীবন দাতা তুমি,তুমিই আমার বিধাতা,
আমার সকল রক্ত কালি করেও কি শেষ করা যাবে তোমার নামটি লেখা?
সেই ছোট্ট থেকেই যেমন চন্দ্র-সূর্য দেখি,তেমনি দেখি তোমাকে।
দুটোই যেমন আলোকিত করে আমায়,
তেমনি তোমার আলোতেও আলোকিত আমি।
আমার কাছে তুমি চন্দ্র-সূর্যের মিশ্রণ,
করে যাও সদা বাবা-মায়ের অভাব পূরণ।
এমন ভালোবাসার চাদর তুমি-
যে চাদর গ্রীষ্মের চেয়ে শীতল, শীতের চেয়ে উষ্ণ-
তাইতো আমার জীবন হলো সদা নাতিশীতোষ্ণ।

15/02/2015
11:49 pm
d.m