একটি শৌর্যশালী মহাকাল,
একটি সম্পূর্ণ অধ্যায়,
একটি চিরঞ্জীবী শতবর্ষ।
তিনশত পনের কোটি সাতান্ন লক্ষ ষাট হাজার সেকেন্ড
কিংবা
পাঁচ কোটি পঁচিশ লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার মিনিট
অথবা
আট লক্ষ ছিয়াত্তর হাজর ছয়শত ঘন্টা
একটি ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ।
মহাজাগতিক কিছু আলোকরশ্মির বিচ্ছুরণ
কিছু ধূমকেতুর অহেতুক আনাগোনা,
ব্ল্যাকহোলের আকস্মিক নিসাড়তা
একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের ধরায় আগমণ,
সালটা ছিল ১৯২০ আর তারিখ ১৭ই মার্চ,
একটি কালজয়ী ফ্রেমে বাঁধা ক্ষণ।
সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র
সূর্যটাও জ্বলছিল একইভাবে,
তবে টুঙ্গিপাড়ার নক্ষত্রটাই
বেশী জ্যোর্তিময় ছিল দৈবভাবে,
সেই অমিতাভ নক্ষত্রের কাছে হেরে ভিসুভিয়াস
হয়ত ঘুমিয়েছিল ক্ষণিকের জন্য
এক ঝলকানিতে, এক মুহুর্তে, এক ক্ষণে
এই বাংলার মাটি হয়েছিল ধন্য।
সেদিন টুঙ্গিপাড়ায় এসেছিল এক স্বপ্নবাজ সাধক,
মানুষের বেশে এসেছিল এক তেজস্বী নরোত্তম,
বাংলার স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা,
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী,
যে বাঁচিয়েছিল বাংলা মা’য়ের প্রাণ,
শুভ জন্মদিন হে বীর, হে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।