এখন অনেক রাত!
কিছু ছোট চামচিকার দল এদিক ওদিক এলোপাথাড়ি উড়ছে;
নৈশ প্রহরীর নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর বিমূর্ত হুইসেল গায়ে কাটা দিয়ে শিহরণ জাগাচ্ছে।
আবহাওয়া বার্তায় প্রতিবারের মতো এবারও ভুল সংবাদ দিয়ে বলেছে বজ্রসহ বৃষ্টি হবে অথচ আমের ডগায় ঊর্ধ্বগামী পত্র পল্লব স্থির হয়ে আছে কবে থেকেই!
আশা করেছিলাম এমন সময়ে আমার শরীর লেপটে থাকবে প্রিয়তমার দু'টি হাত!
এমন নিঝুম রজনীতে অগ্নিস্ফূলিঙ্গে জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হতে থাকা আমার উদল বুকের তপ্ততা শীতল করতে চেয়েছিলাম তার অনাবৃত শরীরের ক্রমাগত ঘর্ষণে সৃষ্ট সোনা ঝরা মিহি উষ্ণতায়!
আমি ভেবেছিলাম বিষে বিষে বিষ ক্ষয় হবে; উষ্ণতায়, তপ্ততায় মিলেমিশে শীতল করবে আমার ঝলসানো বক্ষ!
অথচ গুণীজন বচনে শুনেছিলাম ধ্যান, ভজন, নাম জপে দেহ-মন শীতল হয়; পার্থিব অপার্থিব সকল মনঃকামনা পূর্ণ হয়!
তবে কি আমি তাঁর শরণাগত হব? নাকি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো প্রিয়ার আলিঙ্গনের?
অবশ্য সে এখন দিব্যি নিশিরাজের সাথে প্রেমে মত্ত!
তার ঘুমন্ত আঁখি পল্লব ভীষণ চঞ্চল, নেত্র মনি দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে অক্ষিকোটরের বিশ্বব্রহ্মাণ্ড!
ঠোঁটের কোণের মৃদু হাসিই বলছে রাজ্যের তারারা আজ প্রিয়ার চোখে স্বপ্ন হয়ে নেমেছে!
ঈশ্বর বুঝি স্বয়ং এসেছেন সেই স্বপ্নে!