অনেকদিন ধরে ভাবছি একটা কবিতা আবৃত্তি করব,
শুধু তোমার জন্য প্রিয়া--;
কিন্তু কার কবিতা? আমার না অন্য কারো?
গলার যা ছিরি! লোকে বলবে কি!
ফাটা বাঁশ নয়ত ডেকচিতে ঝাঁঝরার কড়কড়ানি--;
সে যাই হোক! তবুও আমি আবৃত্তি করব,
অন্যের জন্য না হোক নিজের জন্য তো করতেই পারি,
কেউ না শুনুক তুমি তো শুনবে, তাই না প্রিয়া?
.
আচ্ছা তুমি কি প্রেমের কবিতা পছন্দ কর নাকি বিরহের---?
কলতানের নাকি অভিমানের?
তবে ঠিক করেছি আমি প্রেমের কবিতাই পড়ব,
তুমি শুনে হাসবে, যত্ন করে আরেকটু না হয় ভালোবাসবে—
বাসবে তো?
.
আমি না হয় আমার কোন কবিতাই আবৃত্তি করব,
পুরনো কিংবা নতুন কোন কবিতা--,
আচ্ছা এক কাজ করলে কি হয়,
তোমায় নিয়ে নতুন কোন কবিতা লিখে সেটাই না হয় আবৃত্তি করলাম—
তোমার রূপ যৌবন ফুটে উঠবে সে কবিতায়,
তোমার ঠোঁটের কোণের দুষ্টমিষ্টি হাসি,
তোমার ডাগর চোখের লাজুক চাহনি
আর আলতা পায়ের নূপুরের
রিনিঝিনি করে চলার ছন্দটাই না হয়
বসিয়ে দেব কবিতার পরতে পরতে---
.
আমি আমার নাকি গলায় কোন এক রোমান্টিক মিউজিকের
সাথে না হয় তোমায় ভোলানোর চেষ্টা করব,
অবশ্য যদিও আমি আবৃত্তি করতে পারি না, তাতে কি
তোমায় নিয়ে নতুন একটা কবিতা তো লেখা হবে---
প্রিয়া--, তুমি শুনবে? শুনবে আমার কবিতা?
.
বল প্রিয়া বল,
আর কতকাল তুমি ফটোফ্রেমে বন্দী হয়ে
আমার কথার নিরব সাক্ষী হবে,
একবার তো বল, ওগো, আমি শুনব! আমি শুনব তোমার কবিতা,
তোমার আবৃত্তি, তোমার প্রেমের বন্ধন,
আমি শুনব তোমার লেখায় আমার অস্তিত্বের নিখুঁত বুননের ইতিহাস।