শ্রাবণধারা

শ্রাবণধারা
কবি
প্রকাশনী বেহুলা বাংলা
প্রচ্ছদ শিল্পী হাজ্জাজ তানিন
স্বত্ব লেখক
প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সর্বশেষ সংস্করণ ১ম
বিক্রয় মূল্য ২২৫

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

ফ্ল্যাপের কথাঃ
বিহারীবাবুর কি আর দেরি সইছে না? বিনোদিনীর প্রেমে কি টালমাটাল হয়ে গেছে বিহারীবাবুর মন? নিজের পৌরষত্ব কি বিনোদিনীর চরণে অঞ্জলি দিয়ে জিতে নিতে চায় এই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরময় সুখটুকু?” ভাবতে ভাবতে হঠাৎই ঐন্দ্রিলার মনে হল “ইমন তো জানে না কে এই রহস্যময়ী? তাহলে কি ইমনের মনে ঐন্দ্রিলার জন্য কোন স্থান নেই? ইমন তো অজানা কোন এক রহস্যময়ীর প্রেমে মাতোয়ারা। ঐন্দ্রিলা তো তার চোখের সামনে আছে, কিন্তু এই রহস্যময়ীকে তো ইমন কখনো দেখেনি। তবে কি ঐন্দ্রিলা ভুল করেছে এতদিন? সেকি নিজের গড়া খেলায় নিজেই হেরে যাবে?” এসব ভেবে এই সকালেও হঠাৎ ঐন্দ্রিলার চোখের কোণে জল চলে আসে। নিজেকে খুব একা লাগল; এটা এমন একটা বিষয় যে রিনির সাথেও শেয়ার করা যাবে না। এই মুহুর্তে ইমনকে খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে ঐন্দ্রিলার। শুধু মনে হচ্ছিল এখন গিয়ে বলে দেয় যে ঐন্দ্রিলাই সেই রহস্যময়ী নারী। চোখের জলের সামান্য ধারা ধীরে ধীরে ভেনিজুয়েলার এঞ্জেল জলপ্রপাতের মত বইতে লাগল। কান্নার বেগ বেড়ে গেল মনের অজান্তেই। ইচ্ছে হচ্ছে চিৎকার করে বলতে আমিই বিহারীবাবুর বিনোদিনী, আমিই সেই রহস্যময়ী, আমিই সে যে তোমাকে পাগলের মত ভালবাসে, আমিই আমিই আমিই...। কিন্তু কিছুই বলতে পারছিল না। শুধু নিজের ঘরে একলা কেঁদেই যাচ্ছিল। কিছুই ভাল লাগছিল না। যে করেই হোক ইমনের সাথে আজকে দেখা করতেই হবে। কিন্তু সন্ধ্যার আগে তো দেখা করা যাবে না।

উৎসর্গ

যার পানে চাইলে হাজার ব্যর্থতার মধ্যেও নিজেকে সফলতম ব্যক্তি মনে হয়; যার মুখের কথা একটু শোনার জন্য মন আনচান করে। দুরে থাকলেও যে নিজের অস্তিত্ব সর্বক্ষণ আমার মানস হৃদয়ে অবস্থানের প্রমাণ দিয়ে যায়। যার হাসিতে আমি পৃথিবীতে স্বর্গীয় সুখ অনুভব করি -
আমার সন্তান- ধীরাজ ঋষি দে(তীর্থ)।