এখানে ধান সিঁড়ি নেই,আছে ইছামতি আর তার মৃদু বয়ে যাওয়া জলরাশি,
আমিও জীবনানন্দের মত বলি ইছামতির তীরে যেন বারে বারে ফিরে আসি।
ফিরে আসি যেন বাংলার এই গাঁয়ে মানুষের বেসে,সবুজের এই ছায়ায়,,
ক্ষতি নেই তাতে যদি মানুষ না হয়ে ঐ শঙ্খচিল গাং শালিক বা সন্ধ্যার সুদর্শন হাওয়ায়।
এই বাংলায় আমি বারে বারে আসিব ফিরে ,,
মায়ের মমতা আর বধূর কাজলে আঁকা এই ছোট নীড়ে।
আমি বারে বারে আসিব ফিরে সেই কোনো ফাগুন মাসে,
হয়তো মানুষ নয়, কোনো কৃষ্ণচূড়ার ডালে কোকিলের বেশে।
যেথা কাটা ধান ক্ষেতে বালকের লাটাই হতে আকাশে তে ঐ ঘুড়ি ওরে,,
হয়তো সেই লাটাই হাতে আমি আবার আসিব যে ফিরে।
যেথা দোয়েলের শিস শুনি ডুমুরের ডালে,
যেথা তরু র শাখায় ভরে ফুলে আর ফলে,,
যেথা রোজ সন্ধ্যায় বলাকারা ঐ দল বেঁধে ফিরে চলে ঘরে,,
সেই সন্ধ্যায় আমি হয়তো আবার আসিব ফিরে হেথা বারে বারে।
যেথা ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকে ঐ আর জোনাকিরা আলো দেয় রাতের আধারে,,
সেই আধার রাতে ও আমি বারে বারে আসিব যে ফিরে ।
দামাল ছেলের দল উরিয়ে পথের ধুলো দেখতে মেলা ছোটে বিকাল বেলায়,
খুঁজে তুমি আমাকে ও পেতে পারো ইহা দের ভিড়ে ঐ বৈশাখী মেলায়।।