নিকানো উঠানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
দু’একটা শিশু দুব্বো ঘাস
দু’মুঠো ভাত আর একবাটি ফ্যান
এটুকু স্বাচ্ছন্দ্যও অসহ্য এখন।
ভারী কালো পরমাণু-চোখ
ঈর্ষান্বিত চেয়ে আছে।
স্যাটেলাইট বাজ ও শকুনের দল
বিষাক্ত নখর দিয়ে আকাশের নীলে
সভ্যতার চিতা সাজিয়ে চলে।
শ্যামল সজীবতাকে
বারুদের গন্ধ মাখিয়ে
মরণোন্মুখ করে ফেলে
চুপচাপ চেয়ে আছে পরমাণু-থাবা ।
মায়ের বুকের রক্ত শুষে নিয়ে
শিশুদের মুখে আফিম ছড়িয়ে
মানুষে মানুষে বিভেদের প্রাচীর তুলে
চুপচাপ চেয়ে আছে
যুদ্ধবাজ স্বার্থপর পরমাণু-চোখ।
মেরুদণ্ড, অস্থি, মজ্জা কুরে কুরে খায় ঘুণে,
প্রত্যেকের স্বর্গীয় সুড়ঙ্গ নরকের দ্বারে যায় চলে!
*** *** ***
পরম নিশ্চিন্ততার দিন আজ শেষ
ছিন্ন-ভিন্ন শান্তি ও স্বস্তির চিহ্ন!
অথচ সমুদ্র আজ শান্ত।
সমুদ্র কি ঘুমিয়ে পড়েছে?
সমুদ্র কি গর্জন তুলতে ভুলে গেছে?
ভুলে গেছে ঝড় তুলতে? প্রতিবাদ করতে?
বিক্ষোভে ফেটে পড়তে? ঐক্যবদ্ধ হতে?
উত্তাল আন্দোলনে পৃথিবী কাঁপাতে?