তোমার জন্যে
একটা গোলাপ উপড়ে দেওয়া যেতে পারে তোমাকে
প্রাক-মধ্যাহ্নে,
অথবা একরাশ রজনীগন্ধা – সায়াহ্নে।
যে ভালোবাসা হৃদয় নিঙড়ানো
কামনায় শারীরিক
আন্তরিকতার সুতো দিয়ে বোনা প্রেম-কার্পেট
হয়তো বা কিছুটা যান্ত্রিক।
তবু, তোমার জন্যে বড় জোর
হৃদয়-সাগরে আনতে পারি জোয়ার।
খুব জোর ঝাড়্গ্রাম, শালবন
এবং তারপর?
তুমি তো জ্যোৎস্না, ভাসাবে জগৎ বহ্নিতে , বন্যায়
নীচে আমি ধূ ধূ বালুচর।
(ঝাড়্গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ‘অরণ্যলোক’ পত্রিকার অক্টোবর ২০০৫ সংখ্যায় প্রকাশিত।)