গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার
অজিত কুমার কর
মানবরূপী দানবগুলো ওকে বাঁচতে দিল না
একনাগাড়ে অবিরত
ছিল সে তো কর্মরত
অতর্কিত আক্রমণে কোমল অঙ্গে অনেক ক্ষত
সহমর্মী ওর পাশে কেউ ছিল না
পিশাচগুলো ওকে বাঁচতে দিল না।
এভাবেই কি হিতৈষীরা একে একে হারিয়ে যাবে
রোগগ্রস্ত মানুষ তবে প্রতিবিধান কোথায় পাবে?
কর্মক্ষেত্রে কেন এমন
অবিশ্বাসের বাতাবরণ
বিশেষ করে রমণীরা কোথায় পাবে আস্থাভাজন?
আসছে বিপদ সতর্ক কেউ করল না
শিবের মতো কেউ তো ত্রিশূল ধরল না।
হাসপাতালে সারাটারাত অনেক কর্মী জেগেই থাকে
অসুবিধা হলেই রোগী ডাকবে তখন সেবিকাকে
একটি নারীর জীবন গেল
টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এল
মদত ছাড়া, দুর্বৃত্তরা এত সাহস কোথায় পেল?
গায়ে জুতোয় রক্ত লেগে
চোখ এড়িয়ে গেল ভেগে
এমন কান্ড ঘটে গেল ছিল না কি মানুষ জেগে?
তদন্তের যা ধরনধারণ আশার আলো দেখছি না
কেষ্টবিষ্টু জড়িয়ে আছে
ফাঁস হয়ে যায় সত্য পাছে
তাইতো দ্রুত শব সৎকার তিলোত্তমার বাড়ির কাছে।
তবুও স্রোতেই চলছি ভেসে কোনও চরেই ঠেকছি না
আপিল করার জন্য এখন কোর্টকে চিঠি লেখছি না।
তথ্যপ্রমান লোপাঠ করে কিছুই চাপা যাবে না।
হত্যাকাণ্ডে দোষী যারা কেউই ছাড়া পাবে না।
© অজিত কুমার কর