দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
অজিত কুমার কর

ভূমিষ্ঠ কন্যাসন্তান আলোকিত জীর্ণ কুঁড়েঘর
পড়শি বাজালো শঙ্খ বার্তা পেল বিশ্বচরাচর।
খুকু যেই কেঁদে ওঠে
জননীর হাসি ফোটে
স্তন্যপানে রত শিশু ঝরে পড়ে মায়ের আদর।

সময়ের সাথে সাথে বেড়ে ওঠে আদরের ধন
ধীর স্থির শান্তশিষ্ট ওই মেয়ে মেধাবী ভীষণ।
দ্বাদশে উত্তীর্ণ হয়ে
ভর্তি মহাবিদ্যালয়ে
চিকিৎসার পাঠ শুরু মনোবাঞ্ছা পূরণ তখন।

স্নাতক-স্নাতকোত্তর দুটোতেই হয়েছে সফল
রোগ নিরাময় হলে ফিরে পায় রোগী মনোবল।
বিশ্রাম একটি রুমে
তখন গভীর ঘুমে
নেমে এলো বিপর্যয় ঝরে রক্ত নয় অশ্রুজল।

কেড়ে নিল যারা ওই কর্মরত ডাক্তারের প্রাণ
তারা তো মানুষ নয়, হলে দিত যথার্থ সম্মান।
পৈশাচিক নির্মমতা
সীমাহীন বর্বরতা
সহযোগী হয়ে দিলে ভগিনীকে এই প্রতিদান!

জন্মদাত্রী মাতাপিতা জানে না কি সন্তানের নাম?
ওরাই জড়িত ছিল চরিতার্থ ঘৃণ্য মনস্কাম।
হোক দোষীদের ফাঁসি
দাবিদার বিশ্ববাসী
হত্যাকারী ধর্ষকের পৃথিবীতে নেই কোনও দাম।

সুপ্রীমে বিচারাধীন সকলেই আছে প্রতীক্ষায়
প্রতিবাদী জনগণ অতি দ্রুত সুবিচার চায়।
মানুষ মানুষ হলে
শান্তি সুখ ধরাতলে
সচেষ্ট হতেই হবে, নারীদের সম্ভ্রম রক্ষায়।

© অজিত কুমার কর