ভালবাসা কি কেবল কারও মুখের কথায় বুঝে নেয়ার কিছু
অংক পাঠ, নাকি অংকের সূত্রে হয় স্বার্থহীন প্রেম ভালবাসা?
কাছে আসা মানে কি ছূঁয়ে ছুঁয়ে আর নেড়ে চেড়ে দেখা শরীর
নাকি অনুভব আর বিশ্বাসী আবেগে দু’টি হৃদয় নিয়ে ভাসা।
ভালবাসা কি বলে আসে, নাকি ইচ্ছাতেই ভালবাসা যায়?
আর অন্তরালে ভালবাসা থেকে প্রেম যদি হয় আরও মধুময়,
তাহলে তা “হোয়ে যায়”। কোন অংকের সূত্র থাকেনা সেখানে
তখন হোক না যতই ক্ষুধার রাজ্য কবিতা কিংবা গদ্যময়!
তুই “ভা” বললেই আজও আমি কেবল ভালবাসাকেই বুঝি
কে জানে তখনও তার মানে তোর কাছে লুকিয়ে থাকে ভাঙ্গন,
আমি তো এত কিছু বুঝি না, অংকহীন এক আনাড়ি প্রেমিক
ভালবাসা মানে জানি উজাড় করে দেয়া নিঃস্বার্থ একটি মন।
তুই যখন “অ” বলিস তখন আমি অভিমানকেই বুঝি বেশী।
কে জানে তখনও তার মানে তোর কাছে হোয়ে থাকে অভিনয়,
আমি বুক দিয়ে ভালবাসার মানুষ, পিঠের খোঁজও জানি না
আমি ভালবাসার মানুষকে তাই সম্মুখে রেখে খুব থাকি তন্ময়।
তুই যখন “বি” বলিস তখন আমি বিশ্বাসকেই পরখ করি শুধু।
ঘুরে ফিরে দেখি আমার ভালবাসার বিশ্বাসে ধরেছে কিনা চিঁড়!
অথচ দেখি তোর মনের আড়ালে ভরে থাকে দুঃখ কষ্ট বিষাদ
আর ভালবাসার স্বর্গীয় শিহরণে শত সন্দেহ করে থাকে ভিড়।
তুই যখন “ক” বলিস তখন আমি কষ্ট-কান্নাকেই বুঝি বেশী
অথচ তোর মনে কোথায়, কখন, প্রেমের বয়স নিয়ে চলে অংক,
আমি জানি ভালোবাসা হয় না কখনও কষ্ট আর কান্না ছাড়া
এ তো অসীম থেকে পাওয়া প্রেমময় শান্তি, নয় কোন আতংক।
তাই যখন কোন আগ পাছ না ভেবে অবলীলায় আমাকে
কষ্ট দিতে তোর বাধে না- তখন আমার অস্তিত্ব হারায় কূল,
অথচ সারাটক্ষন আমাকে নিয়ে ভালবাসার কত কথা বলিস
এখন মনে হয় সে সবের অর্থ বুঝতে আমি আজও করি ভুল।