একটা অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু কতটুকু ক্ষতি করে কোন মানব পরিবারে? আমি পাখি কিংবা পশু পরিবারের কথা বলছি না। ভিডিওতে হলেও তো দেখি পশু পরিবারে হরিণের পাল থেকে কত অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে একটি হরিণ মৃত্যু বরণ করে বাঘের থাবায়। তাতে হরিণ পরিবারের কতটুকু ক্ষতি হয় কে জানে!
আচ্ছা তারাদের মত চাঁদ কিংবা সূর্য যদি খসে পড়ত আকাশ থেকে। যদি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হত তাদের খসে পড়া তারার মত, তাহলে কি হত? আকাশ ভরা অগনিত তারা। তাই একটা বা দুইটা বা ততধিক তারা প্রতিদিন খসে পড়লে বা মৃত্যু হলেও তেমন যায় আসে না আকাশের ঐ হরিণ পালের মতই।
অথচ যদি খসে পড়ত চাঁদ কিংবা সূর্য তাহলে সৌর পরিবারের ক্ষতি হত। ক্ষতিই শুধু নয় হয়ত মৃত্যু হত গোটা পরিবারের। সাথে এই পৃথিবীটারও সকল সবুজ, সকল সাগর, প্রকান্ড আকাশ, মেঘ, বৃষ্টি আর শিশিরের মৃত্যু হত। মৃত্যু হত কত শত পাহাড়ি ঝর্ণা, সরোবর, নদী, নদী পাড়ে, পাহাড়ে কিংবা সমতলের জনপদ।
ঠিক তেমনি একটা মানব পরিবারে কারও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলে সে পরিবারেও নেমে আসে মৃত্যু অন্ধকার। তবে সে মৃত্যু চাঁদ কিংবা সূর্যের মত ভয়ঙ্কর নয়। এ যেন ঠিক তারাদের মত। এ কারনেই বোধ করি মানুষ মরে গেলে তারার দেশে তারা হয়ে জ্বলে থাকে অনন্তকাল।
তাই দুঃখ করো না। মানব পরিবারেও কারও কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু স্বাভাবিক। তা
নাহলে যে মানব পরিবারের অস্তিত্ব হত হুমকির সম্মুখীন, থেমে যেত ক্রম অগ্রহসরমান মানব পরিবার, থেমে যেত কান্না, শোক। থেমে যেত আবিস্কার, উন্নয়ন, সভ্যতা। চোখের তারায় নামত রাজ্যের আঁধার। তারার আকাশ হত শূন্য!
১১ আগষ্ট, ২০২১।