প্রবেশাধিকার
- পলক রহমান।
প্রত্যাখ্যান করতে চাইনি অথবা প্রত্যাখ্যাতও হতে চাইনি কোনদিন। এ মোটেও কোন অনধিকারচর্চা ছিল না আমার।তোমার মনের খিড়কি খুলেভেতরে প্রবেশ করে বসেই ছিলাম আমি উন্মুক্ত নদীর জল গড়ানোর মতই তোমার জলসিঁড়ি মন পাব বলে।
বালুকণার অনধিকার চর্চা হলেও ঝিনুকের পেটে রঙিন মুক্তোর জন্ম হয় তাতেই। ঝিনুকের বুকে সে বালুকণা হয়ত প্রত্যাখ্যাত ছিল অথবা প্রত্যাখ্যানের আড়ালে যে আদরের লালায় অন্তরীণ সময়ে তাকে তৃপ্ত করেছিল আদরে তাতেই ছিল প্রত্যাশিত বাহারী মুক্তোর স্বপ্ন।
প্রত্যাখ্যাত হতে চায়নি, অথবা সাত আসমান তাকে প্রত্যাখ্যান করুক হয়ত তাও চায়নি। তবুও তো তারা খসে পড়ে আকাশে। তরপত কোথায় যাবে সেই তারা? পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কি হয়না তার অনধিকার প্রবেশ? তবুও তারা ঝরে, সে জানে পৃথিবীর বুকই যে তার বিদুরিত প্রেমের মোনালিসা ক্যানভাস।
তুমি চাইলে আমি জলসিঁড়ি নদীটি হতে পারতাম, তুমি চাইলে আমি সে নদীর জলে কপাট লাগানো ঝিনুক হতে পারতাম, তুমি চাইলে আমি সপ্তম আসমানের খসে পড়া তারাটিও হতে পারতাম। আমি তোমাকে প্রত্যাখ্যান করিনি অথবা প্রত্যাখ্যাতও হতে চাইনি। ভালোবাসার মানুষের কি প্রবেশাধিকার লাগে!
২৬ মার্চ, ২০২১।