-
রা
করে
কি হবে!
তার মানে
তোমরা চাও
পাহাড়ের মতই
আমরা থাকি চুপ,
যতই করো বিদ্রুপ।
তাহলে ব্যক্তি অধিকার
আমাদের যে মৌলিক দাবী
সেটা কি কেবল কথার কথা!
শহুরে পাকা রাস্তার যে তে’মাথা
রক্তে ভেজালো কারখানার শ্রমিক,
তার প্রানের বিনিময়- কিছু আর্থিক
অনুদান, কিছু শান্তনার অনর্থ বাণী।
রক্তের দামে কেনা হে মোদের বঙ্গ জননী
তোমাকে স্বাধীন করে এই কি মৌলিক পাওয়া?
মুখে হাসি নেই, বুকে ঝরে রক্ত, চোখে শুধু পানি!
...................................................................“স্মৃতিসৌধ কবিতা”। মাঝে “সৌধ কবিতা” বলার জন্য অনেক কবি বন্ধু বলার পর “সৌধ কবিতা” বলেই লিখছিলাম। কিন্তু বন্ধুবর কবি কবীর হুমায়ূন এবং অনেক দিন পর রূম্পা শিমুল আমার পাতায় ফিরে এসে এবং বেশ কিছুদিন ধরে আমার অনেক কবি বন্ধু এটাকে “স্মৃতিসৌধ কবিতা” বলার পক্ষে জোরালো মত দিলে আমি বিষয়টা নিয়ে গভীর ভাবে ভেবে দেখি আমার প্রথম অনুভূতি এবং চিন্তা প্রসূত প্রয়াসই ঠিক ছিল। যা কবিতা সৃষ্টির প্রথম মূখবন্ধে লিখেছিলাম। এই লিংক http://www.bangla-kobita.com/palok/post20140709045954/ টা পড়লে খুব কৃতজ্ঞ হব। তাই এ সকল কবিতাকে আবার “স্মৃতিসৌধ কবিতা” বলেই ডাকার জন্য সকল কবি বন্ধুদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইল।
কোন কোন বন্ধু এটাকে পিরামিড কবিতা বলতে চাইলে আমি ইংরেজীতে লেখা পিরামিড কবিতার ধরণ কবি বন্ধু বিষ পিঁপড়ার দেয়া লিংক ছাড়াও অনেক নেট ব্রাউজ করে দেখেছি। আসলে পিরামিড এর ধরণ আর একটু মাথার দিক থেকে চাপা। আর এটা করতে হলে প্রত্যেক লাইনে অবরোহীতে কমপক্ষে দুটি থেকে চারটি অক্ষর বাড়াতে হবে। কিন্তু “স্মৃতিসৌধ কবিতা” তে সে সুজোগ একেবারেই কম । কারন এ কবিতায় অবরোহী একটি অক্ষর দিয়ে শুরু হলে প্রতি লাইনে একটি অক্ষর বাড়াতে হবে। এবং এ ভাবে কবিতার শেষ লাইন যদি হয় ১৯, তাহলে অক্ষরও হবে ১৯। কিন্তু পিরামিডের ক্ষেত্রে তা নয়। তাই কবি বন্ধুদের অনুরোধ করব এই কবিতাকে পিরামিড কবিতা না বলে “স্মৃতিসৌধ কবিতা” বলার জন্য।
এই কবিতার মূল বিশেষত্ব হল এই যে, “স্মৃতিসৌধ কবিতা” বললেই যেন আমরা বুঝতে পারি আমরা দেশের মানে দেশাত্ববোধের কবিতা নিয়ে কথা বলছি।এর সাথে আমাদের মুক্তি যুদ্ধের অহংকার জড়িত। অর্থাত এখানে দেশ প্রেম, দেশ মাতা, দেশের আচার, সুখ দুঃখ হাসি কান্না, পাওয়া না পাওয়া, গনতন্ত্র, রাজনীতি, মুক্তি যুদ্ধ, স্বাধীনতা, দেশ প্রকৃতির বন্দনা, ভাষা ইত্যদি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দেশকে জড়িয়ে কবিতার প্রয়াস বাঞ্ছনীয় অবরোহী ঢঙয়ে।
ভেবেছিলাম এ কবিতা কম লিখব। কিন্তু কেমন করে যেন কিছু কবি বন্ধুদের ইচ্ছার সাথে আমার মনের কোনে থাকা ইচ্ছাটার মিল হল জানি না, আসলে আমিও চাইছিলাম আগামী বই মেলায় এ ধারার ব্যাখ্যা দিয়ে একটা কবিতা বই সৃষ্টি করে যাই। আর তা করতে হলে কম পক্ষে ৫০টা কবিতা দরকার। তাই এখন একটু ঘন ঘন এ ধরণের লিখা হয়ত পোষ্ট করব। আশ করি যে ভাবে তোমরা এটাকে ভালবেসে উতসাহ দিয়ে গেছ সে ভাবেই দিবে। আর আমার চাওয়া তো থাকবেই যদি তোমরা এ ধরনের লেখায় আস। তাহলে একটা সৃষ্টি বেঁচে থাকবে। ভালবাসার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ...