প্লীজ রঙ্গ করো না আর যৌবনা ঢঙ্গে। দেখোনা কি
ভাবে কুরঙ্গ মাতায় সারাটা বনবিহারী মিলনের তপ্ত
আঁচে। বাঙ্গময় হয় নির্জন প্রকৃতির ঘন সবুজ রাজ্য।
বাহারী বিহঙ্গরা পাখা ঝাপটিয়ে করে আদুরী উল্লাস
সুন্দরী কেওড়ার ডালে ডালে।
মৌয়ালরা যে মৌতাতের ধোঁয়ায় বশ করে মৌমাছি-
মিষ্টি মধুর নেশায়, সহ্য করে বেদনার হুল, কে জানে
মৌয়াল বধুর মিষ্টি রসের আশায় মোউয়াল নিজেই
কতখানি বস মানে। সোহাগী কামনার রাত্রি যখন ভর
করে তার দু’চোখের পাতায় পাতায়।
সবুজ বনের বুক চিরে তবুও ছৈয়াল নৌকা গলে গলে
যায় সুন্দরী কেওড়ার বনে, দৃষ্টি পড়ে থাকে তার গভীরে
ঝোপ ঝাড়ের হৃষ্ট শাখে। কুরঙ্গর রঙ্গ উত্তাপের আঁচ
মোউয়াল ভুল করেও মনে করতে চায় না। সম্মুখে
যে অনেক পথ, পেছনেও শঙ্কা পথে পথে।
প্লীজ রঙ্গ করো না আর কোমর ভাঙ্গা অঙ্গে। তোমার
ঘন কালো বনেও অনেক মৌমাছির চাক, যেখানে
অমাবশ্যা পূর্ণিমায় কামুক মৌমাছিরা বাসা বাঁধে, উড়ে
যায় আবার বাসা বাঁধে। কিন্তু আমার ঋদ্ধ জরা শরীর
এখন কবিতার সঙ্গ ছাড়া চায় না ভঙ্গ হোক অন্য কোন
নিশিথ, তপ্ত ঢঙ্গয়ের নেশায় নেশায়।