অসুস্থতায় জানালাও কেমন পর হয়ে যায়। তবুও দূরের প্রকৃতি দেখব বলে ধীর পায়ে সে অসুস্থ জানালার শার্শীতে এসে দাঁড়াই। চেয়ে থাকি প্রকৃতির দিকে। সে তার মত করেই সকাল আনছে, বৃষ্টি ঝরাচ্ছে, দুপুরকে উপড় করে কখনও রোদ নামাচ্ছে, সন্ধ্যার আহবানে একটু রক্তিম শান্ত হচ্ছে।
জানালায় দাঁড়িয়ে দেখি এক টুকরো রোদ গুমড়োমুখী মেঘ সরে যেতেই কেমন ফিক্ হেসে উঠে। আসলে রোদ হাসে -না সূর্য হাসে, প্রকৃতি হাসে -আনা আলো হাসে বুঝার চেষ্টার চেয়ে হাসিটাই খুব ভালো লাগে। মনে হয় তুমি জানালার ওপারেই দাঁড়িয়ে হাসছ। অথচ তুমি কাছে নেই। কোভিডে কাছে থাকতে যে নেই! মেনে নিয়েছি।
তবে গুমড়োমুখী মেঘটাকে খুব মনে পড়ছে। ও একটু সরে না গেলে কি এমন ফিক্ করে প্রকৃতির হাসিটা অসুস্থ জানালা থেকেও দেখা যেতো? তবে এখন আর এক ভাবনায় তোমাকে আবিস্কার করা হল। তোমার গুমড়োমুখী মুখ দেখলেই খারাপ লাগত। অথচ এখন মনে হচ্ছে কখনও কখনও তোমার গুমড়োমুখী মুখও যে কত সুন্দর তা জেনে গেছি।
১৪ জুন, ২০২১।