বাতাসে ঠিকানার গন্ধে ভেসে ভেসে
পরিযায়ী পাখিও একদিন ফিরে আসে
তার ছেড়ে যাওয়া আবাসিক চরাচরে।
চন্দ্র গ্রহন কিংবা সুর্য গ্রহনও ফিরে আসে
পৃথিবীকে ছায়ার অতলে নিয়ে তার ছন্দায়িত
গতির পথে নিজেকে আঁকড়ে রাখতে।
যেমন ফিরে ফিরে আসে দখিনা বাতাস।
অথচ তুমি চলে গেলে যে আর ফিরে আসবে না,
তোমার চলে যাওয়া যে নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ির মত
কোন অসীম আকাশে হারিয়ে যাওয়া অথবা
ঝরে পড়া তারার মত কোন অচেনা কৃষ্ণ গহবরে
অন্য কোন অস্ত্বিত্বে (!) মিলিয়ে যাওয়া চিরতরে,
তা ভাবতেই পারিনি কোনদিন।
যতক্ষন তুমি ছিলে আমার ভালবাসার স্নিগ্ধ বলয়ে।
সবুজে শিশির ঝরা মাঘ আসে,
ঘন বাদলে কদম ফোটা আষাঢ় আসে,
কোকিলের কুহু তানে ফুল ফোটা বসন্ত আসে,
কাঠ ফাটা রৌদ্রে ঘাম ঝরা গ্রীষ্ম ফিরে আসে,
কালের আবর্তে আরও কত কিই তো ফিরে আসে
তাকে ফিরে আসতে হয় বলে।
যদিও তাদের চলে যাওয়ার বিরহ চিন্হ
বৈশাখের উন্মাদোনার ঝড়ো হাওয়ায় মিলিয়ে যায়
আর এক নতুন বর্ষ পুঞ্জিকার অপেক্ষায়।
তবুও ফুল ফোটে, পাখি গায়, চাঁদ সূর্য উঠে,
আবার নিয়ম করেই অস্ত যায়। বাতাসে ভাসে
চুম্বনের শব্দ, চোখের জল গড়িয়ে পড়ার আগেই
শুকে মরে, তবুও ভেতরে জন্ম নেয় নতুন প্রেম!
অথচ তুমি চলে গেলে আর ফিরে এলে না।
তোমার এ ভাবে চলে যাওয়া যে এমন যাকে
আর ফেরানো যায় না কখনো তা কে জানত!
তাহলে তো তোমার আসার পথ চেয়ে চেয়ে
বসে না থেকে আমিও চাইতাম শেষ বিদায়।
২৬ মে, ২০১৯।