সবাই এমন একটা বন্ধু চায় যে তার চোখের জলের ভাষা বুঝবে, যে চোখে চোখ রেখে উজ্জ্বল দৃষ্টিতে খুঁজবে আগামী স্বপ্নের খোলামেলা প্রান্তরে একটা ঝাকড়া বটবৃক্ষ হবে বলে। যার ছায়ায় শীতল হবে দগ্ধ প্রান, বুকের বোতামহীন অঞ্চল ভরে উঠবে শংকাহীন মৃদুমন্দ বাতাসে।
সবাই এমন একটা বন্ধু চায় যার হাতে হাত নয়, বরং কাঁধের উপরে হাত রেখে নিমগ্ন হারিয়ে যাওয়া যায় সাগরের বেলা ভূমি ধরে লাল কাকড়ার রাজ্যে। ঝাউ বনতলে ঝরে পড়া শুকনো ঝিরি পাতার বালু বিছানায় শুয়ে থাকা যায় প্রভাতের সূর্য দেখবে বলে শাখার ফাঁক গলে।
সবাই এমন একটা বন্ধু চায় যে বিকেলের পার্কে বেঞ্চে বসে বাতাম খাওয়ার খোসা গুলো নিজের কাছায় গুছিয়ে রাখে, যার যত্ন থাকে বৃষ্টির ছাতাটার প্রায় সবটুকুই বাঁচাক তার চুল ভর্তি মাথা বৃষ্টির জল থেকে। যেন অকাংখিত সর্দী-কাশিতে না ভুগে বন্ধুটি।
সবাই এমন একটা তুই বন্ধু চায় যার কাছে অবলীয়ায় বলতে পারে তার ঋতুস্রাবের কষ্টের কথা, বলতে পারে কাউকে বলতে না পারা তার মনের সকল গোপন কথা, বলতে পারে গতরাতে নাইটিতেও কেন ঘুম ধরেনি মেঝেতে গড়াগড়ি দিয়ে বালিশহীন রাত্রিতে।
অথচ আমি বন্ধু চাই এমন যে স্নেহ মায়ায় ভরিয়ে দিতে হবে কখনও মায়ের মত, অনুশাসনে সঠিক পথ দেখাতে হবে কখনও আস্থাবান বাবার মত, বুকে জড়িয়ে আদর করার মত কখনও হবে বড় বোনের মত, হাতটা ধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে বড় ভাইয়ের মত। অবুঝ হয়ে নিস্পাপ হাসিটুকু ঝরাতে কখনও হবে ছোট্ট শিশুটির মত। আর সকল ভুলগুলো উপেক্ষা করে কর্তা বা কর্তৃ না হয়ে হবে একান্ত বন্ধু চিরকাল।
০১ আগষ্ট, ২০২১।