সারারাত বৃষ্টি হল, থেমে থেমে, এক নাগাড়ে। কখনও ঝরঝর, কখনও ঝমঝম, কখনও ঝিরিঝিরি। আমি আধো ঘুম জড়ানো চোখে বেশ টের পাচ্ছিলাম। টের পাচ্ছিলাম মেঘের শব্দহীন ঝরা বৃষ্টির তন্ময় নিবিড়তা। কিন্তু এর পরও তোমার বিরহ ভাবনারাই ছিল যেন বেশী মুখোর।
বিভিন্ন মৌসুমের প্রতিটি রাতেরই একটা আলাদা রুপ আছে। হোক সে তারার আলোয় শুধুই ছায়াচ্ছন্ন, হোক সে মেঘে ঢাকা শুধুই অন্ধকার, হোক সে জ্যোৎস্নার আলোয় অন্ধকার ভাঙা শুধুই শীতল অথবা শ্রাবণের বৃষ্টি ধারায় শুধুই তন্ময়তার ঘোরে নিবিড়। গভীর অনুভবে তবুও রাতের একটা অপরুপ রুপ আছে।
রাতের আকাশে তারারা হাঁটে, চাঁদ হাঁটে, মেঘ হাঁটে, সময় হেঁটে হেঁটে ভোরের আলো ফোটায়। অথচ শ্রাবণের রাতের আকাশে কখনও কখনও এক নাগাড়ে বৃষ্টিরা ঝরে পড়ে। তাইত বিরহী চোখেও বৃষ্টিরা ঝরে, কান্নারা ঝরে, আলোরা ঝরে কিন্তু হাঁটে না। ঘনকালো অন্ধকার হয়ে আসে বিরহী চোখ তখন কোন পরবাসে আপন জনের কথা ভেবে।
এমন তো নয় যে এ বৃষ্টির শব্দ কেবল শ্রাবনেই সারা রাত ধরে থেমে থেমে কখনও এক নাগাড় আসে কানের পর্দায় অথবা তোলপাড় করে বুকের ভেতর আমার। এখন মেঘ, বিদ্যুতের ঝলকানি, মেঘের গর্জন, এ শ্রাবণ বৃষ্টির জলধারার শব্দ, কান্না আমার বুকের ভেতর প্রতিনিয়ত কি এক রিহার্সাল করে। এ যেন এমন তোমার বিরহে আমার বৃষ্টি মুখোর শ্রাবণ শুধুই কাঁদে।
০২ জুলাই, ২০২১।