কি যেন একটা সুক্ষ্ম বলয় আছে আমার দেশে এই বাংলাদেশে,
তাইত কোন ধবংসাত্মক কিছু হবে হবে করেও তা হয় না শেষে।
এই যে এত অনিয়ম, এত দুর্নীতি, এত খুন, এত ধর্ষণ, এত অবিচার
চলছে সব ঠিকঠাক গদি পোক্ত করতে শক্ত করে ধরেছে মাজার।
ধর্ম গেল ধর্ম গেল কিছু হুজুরেরা করে চিৎকার , করে আন্দোলন,
রাতের আঁধারে নারীর সাথে কালো টাকার গন্ধে চরিত্র হয় স্খলন।
নারী ভাবছি- নামাজ পড়ছি, ঘুষ খাচ্ছি- রোজা রাখছি ধর্মটা স্পস্ট,
এমন ধর্মীয় কালচারে এখনও মানছি না স্রস্টা পাচ্ছে কতটুকু কষ্ট।
করোনা এলো তখন সকলেই ভাবল এ এক স্রস্টার কঠিন গজব,
এবার বুঝি চরিত্র শুধরাবে অথচ আরও অবনতি হল, কি আজব!
যেন আযান দিয়েই ক্যাসিনোর চক্রে আরও গতি পেলো দুর্নীতি,
মদের গেলাস খাচ্ছে গড়াগড়ি, দুর্নীতিতে সাংসদ হায়রে রাজনীতি!
বাংলাদেশকে তবু কি যেন এক বলয় হেফাজতে রাখে, করে ভক্তি,
তাইত বলি এ দেশ সরকার যন্ত্র নয়, চালায় গায়েবি কোন এক শক্তি।
নইলে এত নদী ভাঙনত, বন্যা এত মূল্য ঊর্ধগতি তবু নেই চিৎকার
হাজতেও হাজতি নয় নিরাপদ, কিছু পুলিশের কিসে হবে সতকার!
আমজনতার নাকি পিঠই নেই যে শেষে তা ঠেকবে গিয়ে দেয়ালে,
পিঠে কুলো বেঁধে, কানে দিয়েছে তুলো, কে কি করছে নেই খেয়ালে।
প্রকৃত কবিদের আড়ালে ব্যাঙের ছাতার মত জন্মেছে কত শত কবি,
সমাজ চেতনায় তাদের ভূমিকা নেই , নেই সত্য বাণী প্রচারে আরবী!
ব্যাঙাচিকবি সস্তা কবিতা লিখে বা চুরিতে থাকছে লাইকের নেশায়,
এ অনাকাংখিতরা কি ধান্দায় যেন জুটেছে কবিতা লেখার পেশায়।
তাদের ভিড়ে আজ এই প্রতিবাদী প্রগতিশীল কবিরাও গেছে চুপশে
সকলের ধান্দা দেখে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে কিছুই বলে না চুপ সে।
প্রকৃত কবিরা দেশ বিনির্মানে জেল খেটেছে, উপাধি করেছে বর্জন,
নিজেদের সৃজনশীলতায় রাষ্ট্রের কাছ থেকে সম্মান করেছে অর্জন।
সে কাতারে ছিল সমাজসেবী, ছিল রাজনীতিবিদ, শিক্ষানবিশ জনতা,
অথচ আজ রাষ্ট্রই যেন বন্দি কোন অদৃশ্য অপশক্তির কাছে অযথা।
তাহলে উন্নয়নের কাতারে শামিল হচ্ছে দেশ কি করে দিনে দিনে?
টানছে ভারত, টানছে আমেরিকা, টানছে সৌদি, দেখি টানছে চীনে।
তাহলে কি এই অদৃশ্য সুক্ষ্ম বলয় মহান স্রস্টারই এক অশেষ রহমত?
করজোরে বলি অন্যায় নয়, দায়বদ্ধতায় হোক ন্যায়ের সাথে সহমত।
১৮ নভেম্বর, ২০২০।