আমি ভাবনার কাছে কেমন ভাড়াটিয়া হয়ে যাচ্ছি। জোছনার চৌকাঠ পেরিয়ে লজ্জাবতী আঁধারের খোঁজে কি কেউ বের হয় জোনাকীর প্রজ্জ্বলিত জরায়ু দেখবে বলে!
তবে পেঁচার আধো বুঁজা চোখ গলে সন্ধ্যাটা ঠিকই ধরেছিল শয়ন কক্ষের খোলা বারান্দায়।
জোছনারাও যে পালিয়ে বেড়ায় আকাশের গায়ে আড়াল হতে সেটা মনে ছিল। তবে সময় মত মনে পড়েনি।
আমি ভাবনার কাছে কেমন ভাড়াটিয়া হয়ে যাচ্ছি ইদানিং। মেঘের গায়ে দগদগে কাদা লেগেছিল। তবুও এঁটেল বর্ষায় বর্ষাতি জুতো না পরে মাথার উপরে ছিল ষষ্ঠভূজ সামিয়ানা।
গাধামীর জন্য হোক অথবা লেবাসী মশকরাতেই হোক মেঘেরা তালি দিয়েছিল বহুক্ষন। আকাশ ছেঁড়া বিদ্যুতের আলোয় চালাকেরা পথ দেখে। আর আমি তখন দেখছিলাম চোখের মধ্যে ভূতড়ে এক অন্ধকার।
আমি ভাবনার কাছে কেমন ভাড়াটিয়া হয়ে যাচ্ছি ইদানিং। তাই ভাবনারা বড্ড এলোমেলো।
প্রেয়সী প্রেমিকা বউ হয়ে ঘরে ঢুকলে নাকি ভালোবাসারা জানালা দিয়ে পালায়। দরজা থাকতে জানালা কেন?
"বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না দূরেও ঠেলিয়া দেয়"। প্রেম তো প্রেমই। বড় প্রেম আর ছোট প্রেম মাপার যন্ত্র কোথা পাই ?
" সবই স্রস্টার ইচ্ছে" ভেবে রেল গাড়ি আসতে দেখেও রেল লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে রইলাম ঠায়! তবে তখনও কি আমাকে বাঁচানো স্রষ্টার দায় !!
কি যে হয়েছে আমার, কিছুই বুঝি না। আমি তাই ভাবনার কাছে কেমন জানি ভাড়াটিয়া হয়ে যাচ্ছি ইদানিং। আমি দুঃখিত!
১৩ এপ্রিল, ২০২১।