কত কিছুই না ভাবি, তবু কলম ভাঙি লিখতে।
সব কথা যেন সহজ ভাবে বলা যায় না সবসময়!
একটা জীবন কেটে যায় শুধু মানুষ হওয়া শিখতে,
রেখে ঠোঁটের কিনারে উজ্জ্বল হাসি আর বুকের কিনারে বিপর্যয়।
সময়টা কিভাবে যেন ঘুরে যায় চড়কির মতো,
অসংখ্য পাক খেয়ে শেষমেশ প্রদক্ষিন থামে।
উপগ্রহ জুড়ে থাকে নাড়ির সাথে হৃদয়ে ওতপ্রোত;
সম্পর্কেরা কবিতার মতো প্রকাশিত হয় বেনামে।
চাওয়ার কোনো শেষ থাকে না তাই পাওয়া গুলো
সীমিতই থাকে। এক এক করে সিঁড়ি ভেঙে ওঠে অন্ত।
রূপান্তরিত হৃদয় ফানুসে গন্তব্য লিখে দিল;
বুকের ভিতর আগুন জ্বেলে উড়ছি, তবুও জীবন্ত।
যে সকাল চলে যায় তার পথ চেয়ে থাকা বৃথা!
কলমে দীর্ঘায়ু শব্দ; কবিতারা কালিতে ফুরোয়।
পরম যত্নে বাঁধা ভাবনারা আদতে আশ্রিতা;
জীবনের শেষ ট্রেনও স্টেশন থেকে যাত্রী কুঁড়োয়।