কি লিখব তোমায় আজ?
গহীনে হারিয়েছি সব ভাষা,
হরণ করেছ সবই তুমি
তোমায় ঘিরেই যত প্রত্যাশা।
জানি না কি কারণে
তোমায় খুঁজে ফিরে দু'চোখ!
ক্ষণে অনুক্ষণে ভাবি মনে মনে;
একি না পাওয়ার অনুভব?
কতদিন দেখি না তোমায়!
দেখা হয় না অধরে ফোঁটা স্মিত হাসি,
কতদিন হয় না কথা বসে নিরালায়!!
যখন সপ্তর্ষি ছড়ায়, নির্মল আলো রাশি রাশি।
দৃষ্টি নন্দিত আজ তোমায় দেখে
শত সহস্ৰ মুখের মাঝে,
তুমি কিন্তু দেখনি আমায়
খুঁজেছ কি নিজেরই অজান্তে?
এই ভেবে, করছো বিচরণ কারও আকাশে
ডানা মেলা গাঙচিলে।।
জনাকীর্ণ আঙিনার ভীড়ে
পাহারারত একজোড়া চোখ;
খুঁজে নিল তোমায়-
ফ্রেমে বন্দী, পুষ্প কাননে প্রস্ফুটিত মুখ,
হিমেল হাওয়ার আন্দোলনে
দোলা দিয়েছে অচেনা সুখ।
কাশফুলের শুভ্ৰতা আর আকাশের রং মেখে,
লাগছিল তোমায় ভীষণ ভালো
যেন, সাদা মেঘ ভাসছে নীলাম্বরে।
ধূলী-কণাগুলোর সার্থক জনম
রচিছে তোমার পথ,
পদ-ছন্দে বিচরণে মুগ্ধ
সাথে আমাকেও করলে বধ।
মুক্ত কেশে ছিল না বাঁধন
যখন দেখলাম প্ৰথম,
বাঁধলে খানিক পরে, যেমন বেঁধেছ আমাকে;
দুটোতেই লাগছিল মনের মতন।
দেখে তোমায় মেটে না সাধ, অপূৰ্ণতা রয়ে যায়
কবে হবে গল্পকথন মুখোমুখি দু’জনায়?
নভেম্বর, ২০০৯
(সামান্য পরিমার্জিত, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬)