(১৬ ডিসেম্বর'১৬ আবার আসবে এক শতাব্দী পরে। সেদিন থাকব না এই বাংলায়, তাই বাংলা মায়ের জন্য এই বিশেষ লেখা।)
---------------------------------------------------------
দেখি নি বায়ান্ন, চুয়ান্ন কিংবা
ছেষট্টির মুক্তি-সনদ,
দেখি নি অান্দোলনের মুখে
ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান;
যখন অবনত শাসকের মস্তক।
ছিনিয়ে নেওয়া সত্তরের বিজয়ে;
স্বৈরাচারীর পদতলে পিষ্ট যে মুক্তির আহবান,
একাত্তরে এসে ভাঙল শিকল
স্বার্থক বীর-সন্তান, স্বার্থক তোমাদের অবদান।
দানবের থাবা থেকে মুক্তি পেতে
বিভীষিকাময় অক্লান্ত রাত-ভোর;
পরাধীনতার গ্লানিতে বিষাদী আকাশ
মায়ের শূন্য বুকে তপ্ত রোদ্দুর,
প্রিয়ার চোখে চাতকের চাহনি
ভাইহারা বোনের করুণ সুর।

কত মায়ের বুক খালি করে!
ভস্ম দেহ দগ্ধ হৃদয়ে;
বক্ষভেদী নয়ন বারি ধারায়
এলো স্বাধীনতা মোদের ঘরে,
লালিত স্বপ্নে বীরের বলিদানে স্বর্গ হল রচনা।
সেই স্বর্গ, সেই প্রাপ্তি যে অমূল্য!
আজও তবু কেন মানুষ বিবেক শূন্য?
নির্যাতিত হয় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা;
মানুষ কেন এতো হিংস্র, এই কি মুক্তির নমুনা?

কবে হবে মানবতার বিজয়?
লাল-সবুজের এই বাংলায়;
আবার তবে, হবে কি যুদ্ধ?
এবার কে পক্ষ কেবা প্রতিপক্ষ?
গণতন্ত্র কি খেলনা কোন-
রাজনীতি আর কূটনীতির ভোগ-পণ্য?
যখন যার খুশি মারবে লাথি
ঠেলায় পড়লে করবে মিনতি;
উন্মাদনায় প্রলাপ বকে, ক্ষমতা পাওয়ার জন্য।
গণতন্ত্র যদি হয় উৎস, সকল শক্তির আধার
তাহলে তাকে অথর্ব করে, চলবে কত আর?

আজ বাংলাদেশের জন্মদিনে করাতে চাই স্মরণ;
অগণিত শহীদের রক্তে ভেজা, যে অমর অনুপ্রেরণা!!
সেই মাটিতে এতো দুর্নীতি অনিয়ম
এ শুধু লজ্জার নয়, বিজয়ের চরম অবমাননা।

১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬