অবশেষে, রক্তপিপাসু হায়নারা যখন
পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে;
যখন পিশাচরা কিংকর্তব্যবিমূঢ়
দামাল ছেলেদের উপর্যপুরি অভিক্রমণে,
হার নিশ্চিত জেনে বেছে নিল
হীন চক্রান্তের নীল নকশা;
নিশ্চিহ্ন করল সূর্য-সন্তানদের।
ভেবেছিল এতেই দমিয়ে যাবে বাঙালি
বিলুপ্ত হবে অবনত মস্তকে;
পঙ্গুত্ব বরণে আঁধারে থেকে
নিঃশেষে মরবে ধুঁকে ধুঁকে।
আহাম্মকরা ভাবেনি-
সূর্য বুকে নিয়ে এ বাংলায় যাদের জন্ম,
তাদের অস্ত্রে কাটা যায় না-
যায় না আগুনে ভস্ম করা-
বোমা মেরে উড়িয়ে-
কিংবা ব্রাশ ফায়ারে ঝাঁঝরা করা।
কতটা বেয়নেটের খোঁচা মারবি তোরা?
পাতানো সব বাঙালির বুক,
ওরা পারেনি; পারেনি হারাতে মোদের-
ওদের কেড়ে নিয়ে, কেড়ে নিয়ে মায়ের সুখ।
"বরেণ্য বুদ্ধিজীবী"
যে বদ্ধভূমিতে শায়িত তোমরা পরম মমতায়,
হয়ত কালের বিবর্তনে মলিন হবে স্মৃতিস্তম্ভটি;
কিন্তু বাঙালি সত্তার হৃদয়-স্তম্ভ সদা জাগ্রত
চির ভাস্মর, শোণিত সূর্যের আভায়;
স্মরণ করাবে মোদের
সুজলা সুফলা এই সবুজ বঙ্গে;
তোমারা ছিলে, আছো এবং থাকবে
পরম নির্ভরতায়।
ফুটবে যখন পলাশ শিমুল রক্তিম হবে শাখা,
চেয়ে দেখ, বঙ্গ-জননী সবুজ আঁচল পেতে
দাঁড়িয়ে রাজপথে;
শুধু তোমাদেরই প্রতীক্ষা।
১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬