সার্থকতার অর্থখানা ক্ষেত্রভেদে জটিল খুবই,
পাই না খুঁজে থৈ কোনো তার ভাবনামেলায় যতোই ডুবি।
সৃষ্টি জুড়ে প্রাণের খেলায়
হাজার রঙের ভাবের মেলায়
একটি ছোট বৃত্ত হয়ে নিজের মাঝেই কেন্দ্র খুঁজি।
সীমার মাঝে অসীমতার মর্ম বলো কেমনে বুঝি?

আপন আপন কেন্দ্র ঘিরে ঘুরছি সবাই ঘূর্ণিপাকে,
যতোই ঘুরি ঘূর্ণির এ-পাক তার ভিতরেই টানতে থাকে।
আপন হিসেব ছাড়তে পেরে
ক'জন পারি কেন্দ্র ছেড়ে
বেরিয়ে এসে বিশ্ব জুড়ে দেখতে নতুন আলোর জ্যোতি?
ক'জন পারি তারার মেলায় খুঁজতে স্বাতী-অরুন্ধতী?

দিনের আলোয় আকাশ জুড়ে সবাই শুধু সূর্য দেখি,
কিন্তু কোটি তারার ভিড়ে রবির প্রভাই খুব বেশি কি?
বিশালতাও ক্ষুদ্র হলে
সহজ হিসেব এই তো বলে
ক্ষুদ্র থেকেও ক্ষুদ্র আমার সার্থকতাও ক্ষুদ্র ভারি,
বিশ্বব্যাপী যজ্ঞে তো নেই একক কোনো হিসেব তারই।

তাইতো আমি সবার ভিড়ে অভিন্ন এই আমায় খুঁজি,
দিনের শেষে অর্থ ছাড়াই আয়েশ করে দু'চোখ বুজি।
ভালো-খারাপ যেমনই রই
এটা ভেবেই কৃতজ্ঞ হই
সার্থকতা আমার এমন মানুষ হয়ে জন্মানোতেই।
ব্যক্তিগত লাভের খাতায় সার্থকতার আর কিছু নেই।



(রচনাকাল: ১৭ মে ২০১৫ ইং)

বিঃ দ্রঃ - কবিতার প্রথম অংশটুকু পার্থ সাহার "একদিন অনন্ত নক্ষত্র বীথিতে মানব সভ্যতা" কবিতায় মন্তব্য হিসাবে লিখেছিলাম।