আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালায় একটি নিয়ম আছে (গ-৫) যেখানে বলা হয়েছে যে আলোচনা সভায় সদস্য নিজের কবিতা কিংবা কবি হিসেবে নিজের সমালোচনামূলক কোনো লেখা প্রকাশ করতে পারবেন না। সমালোচনা বলতে বোঝায় কবিতার ভালোমন্দ বিভিন্ন দিক যাচাই পূর্বক এর সার্বিক মূল্যায়ন করা। কবি হিসেবে আমি কতটুকু প্রবুদ্ধ, কিংবা আমার একটি কবিতা ঠিক কতটুকু মানসম্পন্ন হয়েছে তার যাচাই করাটা আমার নিজের কাজ হতে পারে না। এটা করবেন পাঠকগণ, এবং অন্যান্য কবি ও সাহিত্য সমালোচকবৃন্দ। কিন্তু এক সময় দেখা যেতো অনেকে নিজের কবিতার ওপর নিজেই সমালোচনা করে আলোচনায় লেখা দিচ্ছেন, অথবা কবি হিসেবে তিনি কতটুকু প্রসিদ্ধ তার ঢোল নিজেই বাজাচ্ছেন। এটা বন্ধ করার জন্যই নিয়মটি যোগ করা হয়েছিলো।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে নিয়মটি তার লক্ষ্যের চেয়েও বৃহৎ পরিসরে ব্যবহার করা হচ্ছে। কবির নিজের কবিতার ওপর যেকোনো লেখাকেই এই নিয়মের মধ্যে ফেলা হচ্ছে। যেমন, নির্দিষ্ট একটি কবিতা লেখার পেছনের ইতিহাস বা নিজের কবিতা সম্পর্কিত অন্য কোনো ঘটনা বা অভিজ্ঞতা কেন্দ্রিক কোনো লেখার ক্ষেত্রেও অনেকেই ধরে নিচ্ছেন যে লেখাটি এই নিয়ম ভঙ্গ করেছে।
আজ তেমনই এক লেখার ওপর এধরণের অভিযোগ চোখে পড়লো। আমাদের এক সদস্য তাঁর কবিতা লেখার পেছনের ইতিকথা তুলে ধরেছিলেন আলোচনায়। সেখানে নিয়মাবলীর এই ধারা উল্লেখ করে দু'টি অভিযোগ জমা হয়েছিলো। অভিযোগ বাতিল করে আমি লেখাটির পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের প্রক্রিয়ায় ছিলাম। কিন্তু ততোক্ষণে দুর্ভাগ্যবশতঃ লেখক আলোচনা বিভাগ থেকে লেখাটি মুছে ফেলেছেন!
লেখককে অনুরোধ করবো লেখাটি আবারও প্রকাশ করতে। আপনার কবিতার পেছনের ইতিকথা আপনিই সবচেয়ে ভালো বলতে পারবেন। এটা অন্য কেউ পারবে না।
এক্ষেত্রে এটাও উল্লেখ্য যে লেখাটির বিপক্ষে যারা অভিযোগ জমা দিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যও সম্মানজনক। নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে মনে করেই তাঁরা অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। এবং নিয়মটি পড়ে এর সঠিক লক্ষ্য বোঝাটাও সহজ ছিলো বলে মনে হয় না। তাই তাদের ক্ষেত্রেও অনুরোধ থাকবে যে দয়া করে এভাবে কবিতা ও আলোচনা যাচাই করার কাজটি চালিয়ে যান। শুধু যখন দেখবেন যে আলোচনায় লেখক নিজেই নিজেকে তেল দিচ্ছেন, তখন এই নিয়মের উল্লেখ করে ব্যান করার জন্য অভিযোগ জমা দিতে হবে।