৹ খাওয়া-দাওয়া ৹ Rhyme: AABB
ছোট দুটি কুঁড়ে ঘর ছন দিয়ে ছাওয়া
ছোট এক পাকঘর মাথা নুয়ে যাওয়া।
লাকড়ির চুলা তাতে রান্নাবান্না করা
ধূঁয়াময় পরিবেশে চোখ জ্বালা করা।
কাঠের পিড়িতে বসে পাত পেতে খাওয়া
ডালভাত চটকিয়ে লেবু মেখে যাওয়া।
আধখানা ডিম দিয়ে এক থালা ভাত
খুশী খুশী খাওয়া হওয়া দিন কিবা রাত।
সিদ্ধ-আলু মাখা হওয়া লঙ্কা-পিঁয়াজে
লোভ হওয়া অমৃতে সরিষার ঝাঁঝে।
খিচুরি রান্না হওয়া শীতে বর্ষাতে
ভরপেটে শান্তিতে ঘুম হওয়া রাতে।
সকালেতে দুধ মুড়ি সাথে জুটা কলা
মহাভোজে মহাতৃপ্তি যায় কি গো ভুলা!
বিকেলে মুড়ির সাথে লঙ্কা-পিঁয়াজ কুচি
পেট খুশি, মন খুশি, মুখে পাওয়া রুচি।
শুঁটকি মাছ রান্না হলে গন্ধে আমোদিত
ভাত মেখে খেয়ে যাওয়া চক্ষু মুদিত।
মাছ খেলে কাঁটা চাই বিড়ালের দাবি
ছানাপোনা এসে গেলে মুখে তালাচাবি।
কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ে ভাগ, ভাগ, শুনা
দুয়ারে দাঁড়িয়ে তার অপেক্ষায় দিন গুণা।
কল পাড়ে এঁটো নিয়ে ভীষণ কাড়াকাড়ি
কাক-কুকুরের হুটোপুটি এটা কার বাড়ি।
আধুনিক পাকা বাড়ি এটাচড কিচেন
গ্যাস-চুলা চিমনি ও এক্সহষ্ট ফ্যান।
মাছ, মাংস, ডিমে ভরা ফ্রিজে যেন মেলা
সব্জী, চীজ, দুধ,মাখন,ফল মূলের ঠেলা।
নুডলস,পাস্তা,উটস,ডাল, তেল, চাল
নামী দামি ব্রেন্ডের নামী দামি মাল।
স্বাস্থ্যকর না বুঝিলে খাওয়া আছে মানা
বুঝে শুনে আনি খাই সব আছে জানা।
খাওয়ার টেবিলে বসে আনমনে খাওয়া
দেয়ালেতে টিভি শোভে শুধু দেখে যাওয়া।
ডিশ প্লেটে এটা ওটা চোখের খাবার
চেখে চেখে রেখে যাওয়া ভোজন কাবার।
শেষ পাতে পাতা পাতা এন্টাসিড খাওয়া
শেষ রাতে ঘুম হোক এতটুকু চাওয়া।
© পলাশ কুমার রায়, ২০২৪