"ভালোবাসা মানুষকে ধ্বংসও তো করে দিতে পারে
এমন ধ্বংসিত কোনো মানুষ
চাঁদনি রাতে লেকের ধারে
যদি একলা বেঞ্চে গিয়ে বসে
চাঁদ তখন বড় কৌতূহলী হয়ে পড়ে।"
শ্রদ্ধেয় কবি নির্ঝর মুখোপাধ্যায় 'এর লেখা 'হৃদয় এক চাঁদ বটে" কবিতাটির শুরু হয় এই অনুভূতির প্রকাশের মাধ্যমেই। আমি চমকে উঠি, ভাবি এ যেন একদম আমার মনের কথা।ভালবাসার চেয়ে বেশী বিধ্বংসী আর কি আছে কোথায়! আল্লাহ্, ঈশ্বর, গড কে ভালবেসেই না আমাদের এত আয়োজন, গর্জন, তর্জন। ক্ষুদ্র মানব মানবীর মধ্যে ভালবাসা হলে, এটুকুও ধ্বংস না হলে চলে! পাছে লোকে কিছু বলে! ঐ চাঁদ সব বুঝে।
শ্রদ্ধেয় কবি নির্ঝর মুখোপাধ্যায় আজ অব্দি ৪ বছর ২ মাস হল বাংলা কবিতায় আছেন।খুব বেশী না হলেও ইদানীং মাসে অন্তত ৩/৪ টি কবিতা উনি নিয়মিত পরিবেশন করছেন। আজ পর্যন্ত মোট ২১১ টি কবিতা কবি বাংলা-কবিতায় জমা দিয়েছেন।"হৃদয় এক চাঁদ বটে" কবিতাটি উনি মাত্র গত মাসেই লিখেছেন। জমা দিয়েছেন ১০/০৮/২০২৪ ইং তারিখে এবং আমি আজই পড়েছি। একদম লাভ @ ফার্ষ্ট-সাইট হয়ে আমি কবিতাটি নিয়ে আলোচনায় মগ্ন হলাম। আমার এই পক্ষপাতিত্ব অবশ্যই মার্জনা করবেন। ঐ কি বলেনা, 'এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার' ভেবে এই সামান্য পারশিয়ালিটি ক্ষমা ঘেন্না করে দেবেন, এই বিশ্বাস আমার আছে।
"মানুষের এই এক দোষ
আনন্দে চাঁদের দিকে তাকায়,
কিন্তু দুঃখ পেলে মাথা নিচু করে থাকে।"
ঠিক বলেছেন কবি, ঘরে যখন আনন্দের ছড়াছড়ি, আমরা তখন কতই না চাঁদ ধরি। চাঁদ বদনে চাঁদের দিকে তাকাই, তখন দুঃখ কোথায়!? দুঃখ এলেই চাঁদের সংগে আড়ি, এমনি বাড়াবাড়ি।
"চাঁদ কিন্তু কুরুক্ষেত্রে কৃষ্ণের মতো,
দুঃখী মানুষটিকে দেখে
প্রথমে ঝপ করে অশ্বথ গাছের মাথায়
উড়ে এসে বসে
তারপর দুঃখিত মানুষটির কোনো হেলদোল নেই দেখে
গাছ থেকে উড়ে এসে
ঝপাৎ করে লেকের জলে ভাসতে থাকে।"
চাঁদ কি ভাল, তাই না? এইবার অন্তত কবিতার শিরোনামটির দিকে একবার তাকান "হৃদয় এক চাঁদ বটে" বাহ! আচ্ছা দুঃখের দিনে হৃদয় কি এমনি পাশে আসে? দুঃখে আমার ভাসে? ঐ নয়নের জলে?
আস্ত কবিতাটাই না আমি ময়না-তদন্ত করে ফেললাম। ছিঃ। কাঁটা ছেঁড়া আর একদম ভাল্লাগে না। সুধী পাঠক জন আপনারা নিজেরাই পড়ে বিচার করুন আমার এই হুড়াহুড়ি করে কাব্য চয়নের সত্যি বদনাম করা খাটে কি না। আমি জানি খাটে না। হুড়াহুড়ি না করলে হারিয়ে ফেলার ডর থাকে। চান্স নেয়া যায়না। নৈব নৈব চ।
কবিতাটি নিয়ে আমার আলোচনা এখানেই শেষ করলাম। এবার আপনারা যদি কেউ থাকেন কোথায়, প্লীজ আসুন। এই কবিকে একটু তালিম না দিলেই নয়। কবিতাটি পড়ে অতি অবশ্যই টিপ্পনী দিতে ভুল করবেন না যেন। আমাকে ধন্যবাদ না দিলেও চলবে- পাই আর কই। আপনাদের সবাইকে অসংখ্য কাশ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালাম। বাজারে এই ফুলের এখন ভীষণ চাহিদা- পরে না ও পেতে পারি ভেবে নিয়ে আসা। ভাল থাকবেন সবাই। প্লীজ।